মুসলিমদের জন্য সংখ্যালঘু সেল খুলেছে। আর আইএসএফ মুসলিমদের দল হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় কর্মী সভায় এসে এমন দাবী করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। শনিবার সকালে আমডাঙা থানার শিরাশিনি গ্রামে কর্মী সভা করেন তিনি।
'আইএসএফ মুসলিমদের দল নয়। মানুষের দল। আদিবাসী থেকে ডিএ আন্দোলনকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় আইএসএফ। তবুও তাদের মুসলিমদের পার্টি বলা হয়', তৃণমূলের বিরুদ্ধে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নওশাদ। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে আমডাঙায় আসেন তিনি। কর্মীসভায় যোগ দিয়ে শোনেন এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দলের সাংগঠনিক বৃদ্ধি করতে কর্মীদের পরামর্শ শুনে কি কি করতে হবে তা বাতলে দেন।
নওশাদ বলেন, 'দলকে মুসলিমদের পার্টি বলেদাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি যখন দেউচা পাঁচামি গিয়ে আদিবাসীদের কথা বলি, অধিকারের কথা বলি তখন মুসলমানদের পার্টি বলে। আমি যখন আনিসের বাড়ি গিয়ে আনিসের হত্যা কেন হয়েছে তার প্রশ্ন তুলি তখন বিজেপির দালাল বলে বিজেপির বি-টিম আখ্যা দেয়। সামশেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বলায় বলা হল, পীরেদের ছেলে কেন পার্টি করছে।'
তৃণমূল সহ অন্যান্য দলের সংখ্যালঘু সেল নিয়ে নওশাদের কটাক্ষ, "অন্য দলের মধ্যে সংখ্যালঘু সেল, হিন্দি সেল ,উর্দু সেল আছে। এখানে কোনও সেল নেই। এখানে সবার জন্য ওপেন প্লাটফর্ম একটা। সবার অধিকারের কথা বলা হয়। সংখ্যালঘু , সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। মানুষের জন্য আমরা রাজনীতির ময়দানে এসেছি। মানুষের জন্য কথা বলব। "
আইএসএফ বিধায়কের দাবী, তিনি বঞ্চিত মানুষ, বঞ্চনার শিকার হওয়া সংখ্যালঘুদের অধিকার, বঞ্চনার শিকার আদিবাসী, দলিতদের কথা বলেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত উচ্চবর্ণ সহ অধিকার হরণ হওয়া নাগরিকদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি করেন বলে দাবী তাঁর।
নওশাদের প্রশ্ন, " ডিএ নিয়ে যারা আন্দোলনকারী কর্মচারীরা সবাই সংখ্যালঘু নাকি? নাকি সবাই সংখ্যাগুরু?" তৃণমূলের নাম না করে তিনি বলেন, 'চাকরি না পাওয়া হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যায্য তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলায় নিতে পারছেন না, তাই দলটাকে সংখ্যালঘু বা মুসলিম দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। "
কারা এমন তকমা কেন দিচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ সাংবাদিকদের বলেন, "সেটা আমি বলব না। শাসক বলবে। আমি মানুষের কথা বলছি। মানুষ আজ সচেতন হচ্ছে। মানুষ যথা সময়ে জবাব দেবে।"
No comments:
Post a Comment