জ্যোতিষশাস্ত্র বা বাস্তু উভয়ের মাধ্যমেই জীবনকে সুখী করা যায়। অনেক সময় কঠোর পরিশ্রমের পরেও সাফল্য পাওয়া যায় না, যার অন্যতম কারণ হতে পারে ঘরের বাস্তু দোষের অবনতি। এমনই কিছু বাস্তু ব্যবস্থার কথা আমরা জানি, যেগুলোর প্রতি মনোযোগ দিলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
ময়লা-আবর্জনা বা আবর্জনার স্তূপ বা ইট-পাথর ঘরের প্রধান দরজায় জড়ো হলেই সফলতা থেমে যায়। বাড়ির মালিক সফলতা পান না। যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁদেরও ব্যবসায় নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদেরও বারবার ব্যর্থতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ঘরের স্কাইলাইটের কাঁচ, জালি বা দরজা ভেঙে গেলে ঠিক করে নিন। এর সাথে, এটিও মনে রাখবেন যে স্কাইলাইটে যেন মাকড়ের জাল না থাকে। আপনার বাড়িতে যদি এমন হয় তবে বাড়ির গোপনীয়তা বজায় রাখা যায় না এবং বাড়ির গোপনীয়তা বাইরে চলে যায়। অন্যের হস্তক্ষেপের কারণে সাফল্য অর্জিত হয় না এবং সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।
বাড়ির প্রধান দরজায় কর্কশ শব্দ বা দরজা ঝুলে থাকলে। খুলতে সমস্যা হলে তা অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। মাঝে মাঝে তেল দিতে থাকুন, কারণ বাড়ির মূল দরজা থেকে যদি শব্দ আসে তাহলে বাড়ির মালিকের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। এছাড়াও তারা হাড় সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়।
বাড়ির মূল ডাস্টবিন দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের কোণে রেখে সেখান থেকে আবর্জনা ফেলতে হবে। ভুল করেও ডাস্টবিন বা আবর্জনা উত্তর বা উত্তর পূর্বের কোণে রাখা উচিৎ নয়। এদিক-ওদিক ময়লা-আবর্জনা থাকলে পরিবারের সদস্যদের মনে নোংরামি, অহেতুক সন্দেহ ও ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়।
বাড়ির আবর্জনা কখনই সাদা রঙের পলিথিনে রাখা উচিৎ নয়। সাদা রঙের পলিথিন ব্যবহারে বাড়ির মালিকের মনে নোংরামি ও বিপি বাড়ে।
ঘরের কোণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। যদি আলমারির কোণ, টেবিলের কোণ অনেক দিন পরিষ্কার না হয়, তাহলে সময় সময় পরিষ্কার করতে থাকুন। কোণায় জমে থাকা আবর্জনা যেমন অগ্রগতিতে বাধা দেয়, তেমনি সাফল্যে সন্দেহও তৈরি করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment