রিষড়া সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজনীতি। রিষড়ার বটতলার কাছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বিক্ষোভ করতে দেয়নি পুলিশ। সুকান্ত মজুমদারের তৈরি প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার রিষড়ায় হিংসা, বিধায়কের উপর হামলা এবং নিরপরাধ বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে অবস্থানের ঘোষণা করেন, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অন্যদিকে, রিষড়ায় সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সুকান্ত মজুমদার পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পুলিশ পক্ষপাতমূলকভাবে কাজ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও সাংসদরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু আহত সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে রিষড়ায় হিংসার জন্য মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন, "রিষড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পাথর ছোড়া এবং গোলাগুলির কারণে হাওড়া-বর্ধমান লাইনে স্থানীয় এবং এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। আরপিএফ-এর পদক্ষেপের পরে ট্রেন পরিষেবাগুলি এখন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রিষড়া জ্বলছে এবং পুরো রাজ্য প্রশাসন দিঘায় সমুদ্র সৈকত ছুটি উপভোগ করছে।" শুভেন্দু অধিকারী ক্রমাগত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন।
অন্যদিকে রাতভর হট্টগোলের পর মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের উদ্বেগ এখনও কাটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়া স্টেশনের কাছে অগ্নিসংযোগের পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা হাওড়া-বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার যাত্রীকে। দুপুর একটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রিষড়া এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে চন্দন নগর পুলিশ, হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশকে ডাকা হয়েছে। সকালে ছোট দোকান খোলেনি। এলাকায় ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment