সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়াল সৌদি আরব
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল : সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি সুদানে। গত এক সপ্তাহ ধরে সুদানে সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে বের করে এনেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুদান থেকে দেড় শতাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এতে বিদেশি কূটনীতিক, আধিকারিকসহ আরও অনেকে রয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে সুদান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ৯১ জন সৌদি আরবের নাগরিক। এছাড়াও ৬৬ জন ভারতীয় সহ অন্যান্য ১২টি দেশের। তাদের জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে সৌদি আরব সুদান থেকে কুয়েত, কাতার, মিশর, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন এবং কানাডার মতো দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।
প্রায় ৪০০০ ভারতীয় বর্তমানে সংকটাপন্ন সুদানে আটকা পড়েছে। সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে হাজার হাজার জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। দুদিন আগে সুদান সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই সময়, তিনি সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আধিকারিকদের একটি পরিকল্পনা করতে বলেছিলেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সুদান সংকট নিয়ে অতীতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সুদানে দ্রুত যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন।
ভারত ছাড়াও আরও অনেক দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে আটকা পড়েছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সুদানে ১৫ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিক আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে সুদানে মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সুদানের আধাসামরিক বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। এরপর সুদানকে সতর্ক করে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ব্লিঙ্কেন সুদানের আরএসএফ নেতা দাগালোর সাথে কথা বলেছেন। সুদানের সেনা জেনারেল আল বুরহানের সঙ্গেও কথা বলেছে আমেরিকা।
No comments:
Post a Comment