বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রিষড়া এবং হাওড়ার সহিংসতার জন্য মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী হাওড়া জেলার শিবপুর এবং হুগলি জেলার রিষড়া থানা এলাকায় ৩৫৫ ধারা কার্যকর করার দাবী জানিয়ে বলেন যে এই এলাকাগুলিকে সেন্ট্রাল কর্পসের নেতৃত্বে আনতে হবে। এর পাশাপাশি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে "রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শুধুমাত্র রিপোর্ট তলব করলে কাজ হবে না। সেই ব্যবস্থা নিন।"
জানিয়ে রাখি, এর আগেও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে তিনি বর্তমান রাজ্যপালকে প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের মত সক্রিয় দেখছেন না।
রিষড়া হিংসার পর তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো করেই জানেন যে তিনি এই জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে তারা এনআরসির মিথ্যা হুমকি দিয়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। সাগরদিঘি নির্বাচন-উপনির্বাচনের পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু নয়, প্রতিটি সচেতন নাগরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চায়। স্বভাবতই এই ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করছেন।'
শুভেন্দু অধিকারী শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবী জানান। রাম নবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় গণ্ডগোল হয়েছিল এবং তারা এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে দাবী জানিয়েছে। শিবপুর-রিষড়া থানাকে এক মাসের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবী।
No comments:
Post a Comment