ঘরে-বাইরে মহিলারা সমস্ত কাজ ভালোভাবে করেন,কিন্তু নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে প্রায়শই অবহেলা করেন। এই কারণেই তারা শরীরে কোনও গুরুতর রোগ আক্রমণ করলে তবেই রোগের আভাস পান। তাই বছরে অন্তত দুবার মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যক। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু সাধারণ রোগের কথা যা ৩০ বছর পেরিয়ে যাওয়া মহিলাদের গ্রাস করতে পারে।
এন্ডোমেট্রিওসিস -
যখন জরায়ুর কাছে অবস্থিত গ্রন্থিটি বের হয়ে ডিম্বাশয়, মূত্রাশয় এবং মলদ্বারের কাছাকাছি চলে আসে,তখন এই সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগটি মহিলাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে ভারী পিরিয়ড, ব্যথা, বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে এর চিকিৎসা সম্ভব। এর জন্য চিকিৎসকরা ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন।
ফাইব্রয়েড -
শরীরে যেসব টিউমার ক্যান্সার হয় না তাকে ফাইব্রয়েড বলে। এদের বৃদ্ধির গতি খুবই মন্থর। সেই সাথে সমস্ত ফাইব্রয়েড শুধুমাত্র চিকিৎসার মাধ্যমেই সেরে যাবে, এটা জরুরি নয়। এর ফলে ভারী পিরিয়ড, বন্ধ্যাত্ব, মাসিকের ব্যথা, গর্ভাবস্থার জটিলতা, যেমন- গর্ভপাত এবং তাড়াতাড়ি ডেলিভারি হতে পারে।
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন -
ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট এবং ভাইরাসের কারণে নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যগত জটিলতা কমাতে সময়মতো চেকআপ জরুরি। বেশিরভাগ সংক্রমণ একটি সাধারণ ডাক্তারী পরীক্ষা দ্বারা শনাক্ত করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও শুরু করা যেতে পারে।
মূত্রনালীর সংক্রমণ -
এটি মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ রোগ। এতে ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, অতিরিক্ত প্রস্রাবের পরিমাণের মতো সমস্যা হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে প্রস্রাবে রক্ত, তলপেটে ব্যথা এবং জ্বরের অভিযোগও থাকতে পারে। এ জন্য নারীরা ইউরিন কালচার করিয়ে কারণের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এই রোগে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। একই সময়ে, আরও তরল গ্রহণ করেও এটি কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম -
শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয়। ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট সিস্ট পাওয়া যায়। স্থূলতা, মুখ ও বুকে অস্বাভাবিক চুল গজানো, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পিরিয়ডের সময় প্রবাহ কমে যাওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
No comments:
Post a Comment