'ভাইপো সব থেকে বড় মাফিয়া', আক্রমণে সুকান্ত - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 2 April 2023

'ভাইপো সব থেকে বড় মাফিয়া', আক্রমণে সুকান্ত


নাম না নিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব থেকে বড় মাফিয়া বলে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা-রাতে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে গুলিবৃষ্টির ঘটনায় মৃত্যু হয় কয়লা কারবারে অভিযুক্ত রাজু ঝাঁ-র। সেই প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। 


রবিবার হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকায় পরিদর্শনে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাম না নিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি। সুকান্ত বলেন, 'মাফিয়া বলে তো তাঁকে রাস্তার মধ্যে এভাবে মেরে দেওয়া যায়। তাহলে তো ভাইপোকে সবার আগে মেরে দিতে হয়। ভাইপো তো সব থেকে বড় মাফিয়া।' 


শিবপুরের রামনবমীর দিনে মিছিলে উপদ্রব হওয়া এলাকা পরিদর্শনের জায়গাতে ঢুকতে বাধা দেয় হাওড়া সিটি পুলিশ। তাই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির সভাপতি। মন্ত্রী অরুপ রায়ের নাম না করে তিনি বলেন, মন্ত্রীর গাড়ির ওপরেও হামলা হয়েছে। তিনি লজ্জাতে প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। তাঁর হাত কেটেছে সেটা নিশ্চই ছুরি দিয়ে পিঁয়াজ কাটতে হয়নি। তিনি দাবি করেন, এখানে অতিদ্রুত এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ঘটনার তদন্ত করান প্রয়োজন। ঘটনার দিনে এই এলাকাতে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়। তাঁর দাবী, সিআইডির তদন্তে রাজ্যের বাসিন্দাদের কোনও ভরসা নেই। তাই এখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নামানো প্রয়োজন। 


তাঁর কথায়, ঐদিনের ঘটনার পরে থেকে এলাকার বাসিন্দারা ভীত ও সন্তস্ত্র হয়ে আছেন। বাড়ির বাইরে বেরোতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। এটাই ওই এলাকার এখনকার বাস্তব পরিস্থিতি। তিনি বলেন, রাজ্যে তোষণকারী দলের মন্ত্রীও নিজের ওপরে হামলার কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন।


উল্লেখ্য, গত বছরের রামনবমীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এই বছরেও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে অঞ্জনী পুত্র সেনার রামনবমীর মিছিলে ফের বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। এও অভিযোগ ওঠে, সন্ধ্যাবাজারের কাছে পৌঁছতেই মিছিল লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল ছোঁড়া হয়। ঘটনাতে ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। 


আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুরো এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অঞ্জনী পুত্র সেনারা। তাঁদের ওপরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় বলেও অভিযোগ মিছিলের সংগঠকদের। তাঁদের অভিযোগ, যারা শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে হামলা চালাল তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad