৪৮ ঘন্টা পরেও থমথমে পরিবেশ, কালিয়াগঞ্জে পৌঁছালেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৩ এপ্রিল: নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে দুই দিন ধরে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ। কখনও টায়ার জ্বালিয়ে, কখনও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কালিয়াগঞ্জের একটি অংশে ৭ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে।
কালিয়াগঞ্জে পৌঁছেছেন জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি কালিয়াগঞ্জ থানায় যাবেন এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
রবিবার সকাল থেকে কালিয়াগঞ্জ এলাকায় নীরবতা বিরাজ করছে। শনিবার থেকে পুলিশ চত্বরটি নিজেদের দখলে নিয়েছে, তারপর থেকে এই এলাকাটি জনশূন্য এবং এদিন সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা, আগামী ৭ দিন ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। গত দুদিনে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কালিয়াগঞ্জে পৌঁছেছে। তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। এর আগে, রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন মহিলা নিরাপত্তা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন এক নাবালিকা। শুক্রবার সকালে পুকুরে তার দেহ পাওয়া যায়। মৃত ওই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। প্রথমে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ। পুলিশ দেহ নিতে গেলে বিক্ষোভকারীরা সহিংস বিক্ষোভ করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। নিহতের স্বজনদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবী করছে, অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতির করছে।
No comments:
Post a Comment