শিক্ষক মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ায় স্কুলে আগুন দিল ছাত্রী! মৃত ২০ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 26 May 2023

শিক্ষক মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ায় স্কুলে আগুন দিল ছাত্রী! মৃত ২০



শিক্ষক মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ায় স্কুলে আগুন দিল ছাত্রী! মৃত ২০


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ মে : ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে তার স্কুলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  তার কর্মকাণ্ডে ২০ জন প্রাণ হারায়।  শিক্ষকের ফোন বাজেয়াপ্ত করায় সে রেগে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।  ঘটনার আগে সে অগ্নিসংযোগের হুমকিও দিয়েছিলেন।  মামলাটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানার সাথে সম্পর্কিত।


 ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে মাহদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বালিকা হোস্টেলে আগুন লাগে।  কিছুক্ষণের মধ্যে এটি স্কুলের একটি বড় অংশকে গ্রাস করে।  এতে অনেক ছাত্রী ও কর্মচারী আটকা পড়ে।  সঙ্গে সঙ্গে ডাকা হয় ফায়ার ব্রিগেডের দলকে।  কিন্তু আগুন নেভানো পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।



 ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী জর্জটাউন থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে সেন্ট্রাল গায়ানা মাইনিং টাউনে।  এখন এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি আগুন দিয়েছে সে আর কেউ নয়, স্কুলের ছাত্রী।  ছাত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে তার শিক্ষক।  সে এই জন্য বিরক্ত ছিল। রাগে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেয় সে।  মেয়েটি নিজেও আগুনে পুড়ে যায়।



 পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ছাত্রী আগুন লাগিয়েছিল কারণ স্কুল প্রশাসন তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল।  আসলে, স্কুল প্রশাসন জানতে পেরেছিল যে ছাত্রীটি এক বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করেছিল।  এর পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  গায়ানার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেরাল্ড গৌভিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মেয়েটির বয়স প্রায় ১৪ বছর।  তার ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হলে সে মেয়েদের হোস্টেলে আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়।



তবে অগ্নিকাণ্ডে ওই মেয়েটিও আহত হয়েছে, বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি থাকা আরও ৯ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


 বর্তমানে আমেরিকার মতো দেশ এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গায়ানাকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।  এসব দেশ ডিএনএ শনাক্তকরণে সহায়তার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর কথা বলেছে।  কারণ, আগুনে পুড়ে যাওয়ায় দেহ শনাক্ত করা বড় সংকট।


 নিহতদের অধিকাংশই গ্রাম থেকে আসা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে।  স্কুলে কর্মরত এক মহিলা কর্মচারীর পাঁচ বছরের ছেলেও এই দুর্ঘটনার শিকার হয়।  দমকলকর্মীরা দেয়ালে গর্ত করে কয়েকজনকে বাঁচাতে সফল হন।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad