১৫০০ বছরের সুপ্রাচীন মন্দির! মনষ্কামনা পূরণ করেন বাবা জটিলেশ্বর, দর্শনেই সমস্যা থেকে মুক্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১১ মে: সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র। উত্তরবঙ্গের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের জটিলেশ্বর শিব মন্দির। ময়নাগুড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে চুরাভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক হাট এলাকায় শিব তীর্থ জটিলেশ্বর মন্দিরটি অবস্থিত।
জটিলেশ্বর ধাম সম্পর্কে লোকমুখে বহু কথিত কাহিনী রয়েছে। জটিলেশ্বর মন্দিরে ভক্তরা আসেন যাবতীয় কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। বাবা জটিলেশ্বর তাঁর ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না। জানা গিয়েছে, এই প্রাচীন মন্দিরটি প্রায় ১৫০০ বছর আগে বাংলায় গুপ্ত বংশের শাসকের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ তথা ডুয়ার্সের প্রাচীনতম বিখ্যাত এই মন্দিরটি বর্তমানে আর্কেজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রক্ষণাবেক্ষনে রয়েছে।
জটিলেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের আগেই রয়েছে সুবিশাল পুকুর। সমগ্র মন্দির চত্ত্বর বড় বড় গাছে ভরা। সমগ্র মন্দির চত্ত্বরটিতে রয়েছে গাছের ছায়া, সেজন্য এই মন্দির প্রাঙ্গনে এলেই অনেকটা স্বস্তি মেলে সকলেরই। মন্দিরের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ মন কেড়েছে ভক্ত ও পর্যটকদের।প্রাচীন এই মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে একাধিক দেবদেবীর মূর্তি, রয়েছে একটি বিশাল বটগাছ। কথিত আছে এই বট গাছে মানত করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। সেজন্য ভক্তরা এসে এই গাছে ঢিল বাঁধেন।
শিব মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে নারায়ণ মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। প্রায় প্রতিদিনই ভক্তসমাগম হয়ে থাকে জটিলেশ্বর শিবধামে। শিবরাত্রি ও শ্রাবণ মাসে এই শিব মন্দিরে অজস্র ভক্ত সমাগম ঘটে। দূরদূরান্তের ভক্ত, পর্যটকরা প্রায়শই এই মন্দিরে আসেন।
জটিলেশ্বর শিব ধামের পুরোহিত সুভাষচন্দ্র মিশ্র বলেন, "রাজা চন্দ্রগুপ্ত এবং সমুদ্রগুপ্ত যখন ছিলেন, সেসময় তৈরি করা এই মন্দির। যাঁরা কিংবদন্তি মানেন, তাঁদের দাবী যে, এই মন্দির ১৫০০ বছর পুরনো। ভক্তদের দান দক্ষিণায় মন্দিরটি পরিচালিত হয়। প্রাচীন মন্দিরটি বর্তমানে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। এই মন্দিরকে ঘিরে ভক্তি-বিশ্বাস, আবেগ জড়িত জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দাদের।"
No comments:
Post a Comment