জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার মালদায়
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৭ মে: বাড়ির অদূরে পাটের জমির আল থেকে উদ্ধার এক বৃদ্ধের রক্তমাখা দেহ। ঘটনা মালদা জেলার। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এই দেহ উদ্ধার করে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। রবিবার মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এদিকে পরিবারের লোকেদের দাবী, কেউ বা কারা তাকে খুন করে পাটের জমির আলে ফেলে দিয়ে চলে গেছে।সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সালদহ গ্রামের মাঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধের নাম নসমো আলি(৪৮)। বাড়ি রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরোট গ্রামে।
পরিবারে সূত্রে জানা যায়, গ্রামের এক ব্যক্তি মসিউর রহমানের সঙ্গে নসমো আলি পার্শ্ববর্তী গ্রাম দক্ষিণ সালদহে এক চায়ের দোকানে চা পান করতে যায় শনিবার সন্ধ্যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে পরিবারের লোকেরা তার খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় এক বাসিন্দা মারফতে জানতে পারেন বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে দক্ষিণ সালদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তার রক্তমাখা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
রবিবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। খুন নাকি দুর্ঘটনা! তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে চায়ের দোকানদার খালেক আলির ছেলে মুনাজির আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। তবে এই ব্যাপারে চায়ের দোকানদার মুখ খুলতে চাননি। আরও জানা গেছে ওই বৃদ্ধ অবিবাহিত। ভাইপো বাবুল আলি ও জাহাঙ্গীর আলির কাছেই থাকতেন এবং ভিক্ষাবৃত্তি করেই দুমুঠো আহার জোগাড় করতেন তিনি।
অপরদিকে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর রেলস্টেশনে, রেললাইনের ওপর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় রবিবার সকালে। খুন নাকি আত্মহত্যা, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে ওভার ব্রিজের নীচে ওই কিশোরের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান রেল যাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দার। খবর পেয়ে জিআরপি কর্মীরা ছুটে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই কিশোরের কোনও নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment