জানুন সন্তানের মধ্যে পিয়ার চাপ কমাতে অভিভাবকদের কি করা উচিৎ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ মে : আগের সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে এক ভিন্ন ধরনের চাপ লক্ষ্য করা হয়েছে। একে পিয়ার প্রেসার বলা হয় যা বিশেষ করে কিশোরদের বিরক্ত করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শিশুরা তাদের স্কুলে বা বন্ধুদের গ্রুপে একে অপরকে খুশি করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া শিশুরাও একে অপরের দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয়। কারো কাছে দামি ফোন থাকলে তা কেনার তাগিদ অনুভব করে অনন্য শিশুরাও।
কখনও কখনও বাবা-মা প্রতিযোগিতা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। চলুন জেনে নেই সমবয়সীদের চাপে আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে-
পিয়ার চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত খারাপ অভ্যাস:
এ কারণে শিশুরা ধূমপান বা তামাক বা অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
শিশুরা তাদের পিতামাতা বা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে স্কুল বাঙ্কিং শুরু করে।
অন্য বাচ্চাদের দামি জিনিসপত্র দেখে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে ঠিক একই দাবি করা।
সমবয়সীদের চাপের কারণে শিশু নেতিবাচক হয়ে ওঠে এবং সে রাগের মাথায় আচরণ করতে ভুলে যায়।
এই কৌশলগুলি চেষ্টা করতে পারেন অভিভাবকরা:
ব্যাখ্যা করার উপায়:
এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে, তাহলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। শিশুকে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলুন বাড়ির পরিস্থিতি কেমন। শিশুকে অন্য শিশুদের উদাহরণ দিন, কিন্তু তাকে অনুভব করবেন না যে আপনি তুলনা করছেন।
সময় কাটানো:
বাবা-মায়েরা যদি মনে করেন যে তাদের সন্তান ঠিকমতো আচরণ করছে না, তাহলে তাদের উচিৎ সমাধান করার চেষ্টা করা। এই অবস্থায় অভিভাবকের উচিৎ তাদের সন্তানের সাথে সর্বাধিক সময় কাটানো।
বাধা না দেওয়া :
শিশুর আচরণে রেগে গেলেও কারো সামনে তাকে বাধা দেবেন না। এই পদ্ধতি আপনার সম্পর্কের নেতিবাচকতা বাড়াতে পারে।
কথা বলার সুযোগ দেওয়া:
সমবয়সীদের চাপে আসার পর কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে নেতিবাচকতা শুরু হয়। সে যদি কথা এড়িয়ে যায় এবং সব সময় রাগান্বিত থাকে। অভিভাবকদের উচিৎ এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে শিশু নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারে বা রাখতে পারে।
No comments:
Post a Comment