মানুষের ক্ষিদে ও ঘুম কেন পায় জানুন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৮মে : ক্ষিদে লাগা, খাবার খাওয়া যেকোনও ব্যক্তির রুটিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন প্রতিটি মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু না কিছু খায়। কেউ কেউ অল্প খান, আবার কেউ কেউ একেবারেই না,কেউ কেউ প্রচুর পরিমানে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব কি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে, নাকি এর পেছনেও কোনও কারণ কাজ করছে। চলুন জেনে নেই-
হরমোন দায়ী :
একটি গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তির এমন ক্ষিদে লাগা এর পেছনে একটি হরমোন কাজ করে। একে ঘেরলিন হরমোন বলা হয়। যখন সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে, তখন শরীরের শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন এই হরমোন মস্তিষ্কে বার্তা দেয় যে ক্ষুধার্ত, কিছু না কিছু খান। আবার অনেকের ক্ষিদে না লাগলে বুঝতে হবে ঘেরলিন মেসেজ পাঠাতে পারছেন না।
স্যাক্রোডিয়ান সিস্টেমের সঙ্গে সমস্যা:
শরীরের তার কাজ করার একটি উপায় আছে। একে বলা হয় স্যাক্রাডিয়ান সিস্টেম। এই ব্যবস্থার কারণেই একজন ব্যক্তি দিনে খায় এবং রাতে ঘুমোয়। এই কারণেই রাতে গভীর ঘুম হয়। যখনই জীবনযাত্রায় অশান্তি হয় বা গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়, তখনই এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
এগুলো ভুল সময়ে খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
গবেষণাটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণায় জানা গেছে, যারা সঠিক সময়ে খাবার খান না। রাতে দেরী করে খান। এর প্রভাব মেটাবলিজম এবং ব্লাড সুগারের ওপর দেখা যায়। খাওয়ার সময় ব্যাঘাত ঘটলে ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা বাড়তে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করা খুবই জরুরি। এই কারণে, শরীরের নিজস্ব সময় ব্যবস্থাপনা রয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেবে কখন এটি সুস্থ আছে যে এটি ক্ষুধার্ত। একটি ভারী খাদ্য গ্রহণ করার সময় প্রায় ১২ ঘন্টা ব্যবধান থাকার চেষ্টা করুন। তবে এর মাঝে হালকা খাবার খাওয়া যায়। এবং এটি হরমোন এবং বিপাক প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে।
No comments:
Post a Comment