হাঁপানিতে আক্রান্ত হলে সতর্ক হন এসব বিষয়ে
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২১মে : হাঁপানিতে আক্রান্ত মানুষের সমস্যা গরমকালে আরও বেড়ে যায়। গরমে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়, আর যার কারণে হাঁপানি রোগীদের অবস্থা খারাপ হতে পারে। এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ যে হাঁপানি রোগীদের বাড়ির ভেতরে থাকা উচিৎ এবং যখন ভাল বাতাস থাকে তখনই বাইরে যাওয়া উচিৎ। গরম বাতাসের কারণে হাঁপানি রোগীদের কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।
হাঁপানির বিপজ্জনক রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২রা মে বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মতে, হাঁপানি হল এমন একটি অবস্থা যা ফুসফুসের শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে। যদি একজন ব্যক্তির হাঁপানি থাকে, তবে তার শ্বাসনালী ফুলে যেতে পারে। যখন হাঁপানির অবস্থায় শ্বাস ছাড়া হয় , তখন শ্বাসনালী দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আসুন জেনে নেই এই রোগীদের গরমে কোন কোন জিনিস এড়িয়ে চলা উচিৎ-
উচ্চ আর্দ্রতা:
গরমে বাতাসে অনেক দূষক থাকে, যার কারণে হাঁপানি রোগীদের জন্য শ্বাসকষ্ট একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, তারা তাদের বুকে চাপ অনুভব করতে পারে।
বায়ু দূষণ:
বায়ু দূষণ গ্রহণ প্রত্যেকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীরা যখন দূষণকারীর সংস্পর্শে আসে তখন ফুসফুসের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে অ্যাজমা অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পোকার কামড়:
পোকামাকড়ের কামড়ও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা হাঁপানির লক্ষণগুলিকে ট্রিগার করতে পারে।
পরাগ:
গরমের মৌসুমে অনেক ধরনের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এ কারণে জ্বর আসতে পারে এবং অ্যাজমা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্যায়াম:
ওষুধ এবং সতর্কতার সাহায্যে ব্যায়াম করা হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। কিন্তু গরমে ব্যায়াম করলেও অ্যাজমা অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment