জানুন পেট্রোল চালিত গাড়িতে ডিজেল এবং ডিজেল চালিত গাড়িতে পেট্রোল কেন ব্যবহার করা যায় না
পিঙ্কি রায়,৪ মে : সমস্ত রকম যানবাহন চলতে আলাদা জ্বালানি লাগে। বাইক চলে পেট্রোলে আর অনেক গাড়ি চলে ডিজেলে। ট্রাক ডিজেলে চলে, একইভাবে বিমানের জন্য আলাদা জ্বালানি রয়েছে। কিন্তু কখনও কী ভেবে দেখেছেন যে কেউ যদি এই গাড়িগুলিতে অন্য জ্বালানী ঢেলে দেয় তবে কী হবে? যেমন পেট্রোল চালিত গাড়িতে ডিজেল ঢালা হলে এবং ডিজেল-ইঞ্জিন চালিত গাড়িতে পেট্রোল ঢালা হলে কী হবে? চলুন জেনে নেই কি হবে-
পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির মধ্যে পার্থক্য কী?অটোমোবাইল সম্পর্কিত অনেক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক আলাদা, ডিজেল ইঞ্জিনে এমন কোনও স্পার্ক নেই। এ ছাড়া ডিজেল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর নেই, পেট্রোল ইঞ্জিন গাড়িতে থাকে। পেট্রোল ইঞ্জিন বাতাসের সঙ্গে ভিন্নভাবে কাজ করে। এমতাবস্থায় গাড়ির ইঞ্জিনে ডিজেল ও পেট্রোল মেশানো হলে তা দ্রাবকের মতো কাজ করতে শুরু করে। এতে করে গাড়ির ইঞ্জিনে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
ডিজেল ইঞ্জিনে পেট্রোল ঢেলে দিলে কী হবে ?
পেট্রোল ইঞ্জিন ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে। তাই ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়িতে পেট্রোল প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনের অংশগুলির মধ্যে ঘর্ষণ বেড়ে যায়। যার কারণে জ্বালানি লাইনের পাশাপাশি পাম্পও ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। পেট্রোল মেশানোর পরেও ইঞ্জিন চালু রাখলে বা গাড়ি চালালে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে।
যদি ভুলবশত এমন হয়, তবে ইঞ্জিন চালু না করে গাড়িটি মেকানিকের কাছে নিয়ে যান। এতে গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
বাইকে ডিজেল দিলে কি হবে ?
আসলে, বাইকে ডিজেল দেওয়ার পরে বাইক স্টার্ট হবে না, প্রথমে বাইকটি মেকানিককে দেখাতে হবে।
ডিজেলে বাইক না চলার অনেক কারণ রয়েছে-
একটি ডিজেল ইঞ্জিনের চাপের ক্ষমতা পেট্রোল ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাইকের মতো ছোট গাড়ির জন্য ডিজেল ইঞ্জিন উপযুক্ত নয়।
ডিজেল ইঞ্জিনে কম্পন এবং শব্দ বেশি হয়।
ডিজেলের জন্য একটি বড় ইঞ্জিনের প্রয়োজন, যা বাইকে ফিট করা সম্ভব নয়।
একটি ডিজেল ইঞ্জিন এবং একটি পেট্রোল ইঞ্জিনের দামের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ডিজেল ইঞ্জিন ব্যয়বহুল।
ডিজেল ইঞ্জিনে বেশি বাতাস পাঠানোর জন্য একটি টার্বোচার্জার বা সুপারচার্জার প্রয়োজন। এটি বেশ ব্যয়বহুল।
No comments:
Post a Comment