কবরে ঝুলছে তালা লজ্জাজনক এক কারণে!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,২৩ মে : পাকিস্তান থেকে সম্প্রতি এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর খবর। এখানে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়ের মৃত্যুর পর তাদের কবরে লাগিয়ে দিচ্ছেন তালা । আসলে মৃত কন্যাদের কবরে তালা লাগানোর উদ্দেশ্য হল তাদের কন্যাদের মৃতদেহকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করা।
জানা যাচ্ছে,পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া নামের একটি রোগের ভয় বেড়েছে এবং এই রোগে মানুষ মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক মিলন করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পাকিস্তানে মেয়েদের কবর দেওয়া মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক মিলন করে। এই অদ্ভুত কিন্তু ভয়ঙ্কর রোগের নাম দেওয়া হয়েছে নেক্রোফিলিয়া। চলুন এই রোগ সম্পর্কে জেনে নেই-
নেক্রোফিলিয়াকে আসলে একটি জঘন্য সাইকোসিস অর্থাৎ মানসিক ব্যাধি । এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করে আনন্দ পান। নেক্রোফিলিয়া শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে নেক্রো মানে মৃত দেহ এবং ফিলিয়া মানে ভালবাসা। সুতরাং, গ্রীক ভাষায়, নেক্রোফিলিয়া মানে মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনে আনন্দ করা।
পাকিস্তানে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে নেক্রোফিলিয়ায় আক্রান্ত লোকেরা তাদের কবর থেকে মৃত মেয়েদের মৃতদেহ তুলে নিয়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এই ভয়ে মানুষ তাদের মৃত কন্যার কবরে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে যাতে মৃত্যুর পর তাদের কন্যার দেহের কোনো অবনতি না হয়।
নেক্রোফিলিয়াকে আরও অনেক নামেও ডাকা হয়। একে নেক্রোফিলিজম, নেক্রোলাগ্নিয়া, নেক্রোসাইটাস, নেক্রোলাইসিস এবং থানাটোফিলিয়াও বলা হয়েছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেক্রোফিলিয়াকে খুবই মারাত্মক ধরনের মানসিক রোগ বলা যেতে পারে কারণ এতে রোগী মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক মিলনের ইচ্ছায় কাউকে হত্যা করতেও দ্বিধা করেন না। অর্থাৎ যদি কোন রোগীর মৃতদেহের সঙ্গে সহবাসের ইচ্ছা থাকে এবং সে মৃতদেহ না পায় তাহলে সে কাউকে হত্যা করে তার মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করতে পারে। পরিসংখ্যান দেখার পর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মারাত্মক রোগটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে।
১৯৪৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় নেক্রোফিলিয়া রোগের প্রথম কেস পাওয়া যায়। এই রোগী প্রায় ৫০ জন মহিলাকে হত্যা করেছিল এবং তাদের মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। আর পাকিস্তানে ২০১১ সালে এখানে এমন একটি ঘটনা দেখা গিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment