স্যাটেলাইটে জ্বালানির অভাব মেটাতে মহাকাশে খুলা হবে জ্বালানি পাম্প
পিঙ্কি রায়,২৩মে : গাড়ির জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে পেট্রোল পাম্প যাওয়া হয় গাড়িতে জ্বালানি ভরতে। তবে জানেন কী এবার স্যাটেলাইটগালির জন্যও থাকবে পেট্রোল পাম্প, তাও আবার মহাকাশে? হ্যাঁ,এখন মহাকাশেও চালু হতে যাচ্ছে একটি 'গ্যাস স্টেশন'। এই গ্যাস স্টেশন থেকে স্যাটেলাইট জ্বালানি নিতে পারবে। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেই বিস্তারিত-
অরবিট ফ্যাব নামের একটি আমেরিকান কোম্পানি কিছুদিন পর মহাকাশে একটি 'গ্যাস স্টেশন' খুলতে চলেছে। যেখানে স্যাটেলাইটের মতোই মহাকাশে একটি গ্যাস স্টেশন থাকবে। স্যাটেলাইট এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে জ্বালানি নিতে পারবে। আমেরিকান স্টার্টআপ কোম্পানি অরবিট ফ্যাবের সিইও ড্যানিয়েল ফেবার বলেছেন যে এই ট্যাঙ্কারের জন্য উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হবে এবং সারা বিশ্বের স্যাটেলাইটগুলি তাদের থেকে জ্বালানী নিতে সক্ষম হবে।
এতে সুবিধা হবে যে দীর্ঘ দূরত্বে যাতায়াতকারী যানবাহন বা স্যাটেলাইটের জ্বালানির কোনও ঘাটতি হবে না, ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে যাতায়াত করা যানবাহনগুলোর কোনও সমস্যা হবে না। কারণ এর মধ্যে তারা জ্বালানির সুবিধা পাবেন।
অরবিট ফ্যাব কোম্পানির রিফুয়েলিং স্টেশনের নাম টেনজিং ট্যাঙ্কার-০০১। এর মাধ্যমে সেসব দেশের স্যাটেলাইটও আবার কাজ করতে পারবে,যাদের জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। সেই স্যাটেলাইটগুলোকে জ্বালানি ভরে আবার কাজ করা যায়। এতে নতুন স্যাটেলাইট পাঠানোর খরচও বাঁচবে এবং মহাকাশে বর্জ্য আবর্জনা ওঠাও বন্ধ হবে।
টেনজিং ট্যাঙ্কার-০০১ স্যাটেলাইটে জ্বালানি ভরার পাশাপাশি পৃথিবীর ছবিও তুলবে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যও দেবে। বর্তমানে, এর প্রধান কাজ হল পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী উপগ্রহগুলিকে জ্বালানি দেওয়া। এটি নিজেই স্যাটেলাইটে যাবে এবং তাদের রিফুয়েল করবে এবং তারপর সেখান থেকে আলাদা করবে।
ড্যানিয়েল বলেছিলেন যে এই প্রোটোটাইপ রিফুয়েলিং স্টেশনটি সফল হয়েছে এবং এখন তিনি আরও বড় স্যাটেলাইট রিফুয়েলিং স্টেশন চালু করার জন্য কাজ করছেন। এর পরে অনেক স্যাটেলাইট যে কোনও কক্ষপথে জ্বালানী পূরণ করতে সক্ষম হবে।
No comments:
Post a Comment