আদালত কখন কোনো ব্যক্তিকে পলাতক ব্যক্তি বলে ঘোষণা করে?
পিঙ্কি রায়,৮ মে : দেশের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষ স্তর হল আদালত। ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কোনো অপরাধী পালিয়ে গেল আদালত তাকে পলাতক বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে কাউকে কখন পলাতক বলে ঘোষণা করা হয়? এ বিষয়ে আইন কী বলে? চলুন জেনে নেই-
আদালত কর্তৃক কোনও অপরাধীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হলে এবং একাধিক নোটিশ ও সমন পাওয়ার পরও যদি ওই ব্যক্তি আদালতে বা পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ না করে তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। তখন পলাতক অপরাধীকে সিআরপিসির ৮২ ধারায় ঘোষণা করা হয়। প্রচলিত ভাষায় এমন ব্যক্তিকে 'পলাতক' বলা হলেও আইনের ভাষায় 'পলাতক ব্যক্তির ঘোষণা' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের মামলায় অপরাধী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে বা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।
এর আওতায় বেনামি লেনদেন, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকি, জাল সরকারি স্ট্যাম্প বা মুদ্রা প্রস্তুত করা, লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণার মতো অনেক মামলা রয়েছে। কোনও অভিযুক্তকে পলাতক ঘোষণা করার পর, আদালত যে কোনও সময় ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ জারি করতে পারে। CrPC এর ৮৩ ধারায় এটি করার বিধান রয়েছে।
পলাতক ঘোষণার পর যদি অপরাধী নিজেই হাজির হন, তাহলে বিশেষ আদালতও তার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করতে পারে। তিনি নিজে হাজির না হয়ে আইনজীবী পাঠালে এক সপ্তাহের মধ্যে আইনজীবীকে জানাতে হবে কবে অপরাধী হাজির হবেন। যদি এটি না ঘটে তবে সংযুক্তি ব্যবস্থা শুরু করা যেতে পারে।
এমনতা অবস্থায় পলাতক ঘোষণার পর অভিযুক্ত বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিশেষ আদালতের আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে হবে। অভিযুক্ত দেরি করলে তাকেও বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment