ভূতের শহরের সত্য!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,২৬ মে : বিজ্ঞান মতে ভূতের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলা যায় না যে পৃথিবীতে ভূতের অস্তিত্ব নেই। কারণ আজ আমরা এমনই এক শহরের গল্প জেনে নেব যার সম্পর্কে বলা হয় যে, কয়েক দশক ধরে জনশূন্য অবস্থায় পড়ে থাকা এই ভূতের আতঙ্কে রাতারাতি এই শহরের সব মানুষকে উচ্ছেদ করে ফেলেছিল। চলুন জেনে নেই সেই শহর সম্পর্কে-
আমরা ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের ভারোশা শহরের কথা বলছি। যেটা এক সময় ঘনবসতিপূর্ণ শহর ছিল, কিন্তু মানুষ এই শহরে ভূতের আবাস ছিল বলে আশঙ্কা করত, তাই এই শহরের মানুষ রাতারাতি পরিত্যাগ করে সেই শহর।
এখন বহু বছর ধরে এই শহর জনশূন্য। তাই এই শহরকে ভূতের শহর বলা হয়। এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক গল্প, যার কারণে একে ভূতের শহর বলা হয়। এখানে উঁচু দালান আছে, কিন্তু এখানে কেউ থাকে না।
শহরের হোটেল, আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে বার এবং রেস্তোরাঁ সবই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফামাগুস্তা প্রদেশের ভারোশার একটি ছোট এলাকা ছাড়া এখানকার বেশিরভাগ সৈকত চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেড়ায় বন্দি শহরে প্রবেশ তো দূরের কথা, বাইরে থেকে কেউ ছবি তোলার চেষ্টা করলে জেলের হাওয়া খেতে হয় তাকে।
তথ্য অনুসারে, ৪৫ বছর আগে শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪০,০০০, কিন্তু ১৯৭৪ সালে একটি ভীতির কারণে পুরো শহরটি রাতারাতি খালি হয়ে যায়। এ শহর সংলগ্ন অন্যান্য শহরে দিনরাত আলো থাকলেও এখন সেগুলো একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এটি ছিল জুলাইএর ১৯৭৪ সাল।
গ্রীক জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহের জবাবে তুর্কি সেনাবাহিনী সাইপ্রাস আক্রমণ করলে, গণহত্যার আশঙ্কায় এক রাতেই পুরো শহর উচ্ছেদ হয়ে হয় এবং এখানকার বাসিন্দারা আশেপাশের শহরে আশ্রয় নেয়। তুর্কি আগ্রাসনের কারণে সাইপ্রাস গ্রীক সাইপ্রাস এবং তুর্কি সাইপ্রাস নামে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। ভারোশা শহরটি বর্তমানে তুর্কি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই শুধুমাত্র তুর্কি টহল দল এখানে আসতে পারে। এ ছাড়া এখানে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এত বছর খালি পড়ে থাকা এই শহরকে এখন ভূতের শহর বলা হয়।
No comments:
Post a Comment