মাথায় কয়েকবার চিরুনি ঘষলে তা থেকে নির্গত হয়
ইলেকট্রন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ মে : জাদু দেখতে সবাই ভালোবাসে। অনেক সময় এমনই একটি জাদু দেখা যায় চুলে চিরুনি ঘষে কাগজের কাছাকাছি আনলে,তখন কাগজগুলো সব চিরুনির দিকে আকর্ষিত হয়ে যায়। । কীভাবে হয় এটি আসুন জেনে নেওয়া যাক-
আসলে, মহাবিশ্বের সমস্ত জিনিসই পরমাণু দিয়ে তৈরি। প্রতিটি পরমাণুতে প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন থাকে। স্রোতের প্রবাহে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ-
মহাবিশ্বের সমস্ত জিনিস পরমাণু দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে প্রোটন, নিউট্রন ইলেকট্রন। নিউক্লিয়াসে প্রোটন থাকে। যা পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত। ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘোরে। ইলেক্ট্রনগুলির একটি ঋণাত্মক চার্জ এবং প্রোটনগুলির একটি ধনাত্মক চার্জ থাকে, আর নিউট্রনগুলি নিরপেক্ষ থাকে।
চার্জ প্রবাহে তিনটিরই প্রধান ভূমিকা রয়েছে। একটি পরমাণু স্থিতিশীল থাকে যতক্ষণ না সমান সংখ্যক ইলেকট্রন এবং প্রোটন থাকে। যখন তাদের সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি পায়, তখন পরমাণু আর স্থিতিশীল থাকে না এবং উত্তেজনার কারণে ইলেকট্রনগুলি লাফাতে শুরু করে। এ কারণেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
কারেন্ট কীভাবে আসে :
যে জিনিসগুলি বিদ্যুতের ভাল পরিবাহী যেমন লোহা ইত্যাদি ইলেকট্রনকে সহজে যেতে দেয় না। অতএব, ইলেকট্রন তাদের পরমাণুর মধ্যে চলতে থাকে কিন্তু তাদের সীমানা থেকে বেরিয়ে আসে না। যে কোনও বস্তুতে কারেন্ট অনুভূত হয় তখনই যখন ইলেকট্রন তাদের পরমাণুতে চলে। চুলে প্লাস্টিকের চিরুনি ঘষলে কিছু ইলেকট্রন তা থেকে নির্গত হয়।
এভাবে চিরুনির কাছে ঋণাত্মক চার্জ কমে এবং পজিটিভ চার্জ বেশি হয়। এই কারণেই কাগজের টুকরোগুলো আকর্ষণ করে। আবার যখন কোনও ব্যক্তি বা বস্তুতে ইলেকট্রনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন তার উপর ঋণাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পায়। যখন এই ইলেকট্রনগুলি অন্য বস্তু বা ব্যক্তির মধ্যে থাকা কোনও ধনাত্মক ইলেকট্রনের দিকে যেতে শুরু করে, তখন কারেন্ট বা বৈদ্যুতিক শক অনুভূত হয়।
এরজন্য আবহাওয়াও কি দায়ী?
সাধারণত শীত কালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা বেশি হয়। শীতকালে বৈদ্যুতিক চার্জ সবচেয়ে বেশি থাকে। শীতকালে আশেপাশের পরিবেশ শুষ্ক থাকে এবং ইলেকট্রন সহজেই আমাদের ত্বকের উপরিভাগে জমা হয়। কিন্তু গরম কালে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে। তাই ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনগুলি বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং তড়িৎ আঘাতের ঘটনা খুব কম হয়।
No comments:
Post a Comment