প্রাচীন এই প্রাসাদে লুকিয়ে গুপ্ত ধন!
পিঙ্কি রায়,১৫ মে : আমাদের দেশে অনেক এরকম দূর্গ আছে, যেগুলোতে কোটি কোটি টাকার গুপ্তধন লুকিয়ে আছে আজও । তবে এই গুপ্তধনের সন্ধান এখনও কেউ পায়নি। এমনকি এর বাইরেও অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে এই দুর্গগুলোতে। দেশে এমন একটি দুর্গ আছে যেখানে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকার গুপ্তধন। শুধু তাই নয়, এই দুর্গের রহস্য অবাক করে দেওয়ায় মতো। প্রাচীনকালে দেশে রাজা-সম্রাটরা বাস করতেন এখানে। তাই এদেশকে রাজা ও রাজ্যের দেশ বলা হয়। এই রাজাদের দেশে এমন অনেক দূর্গ আছে, যেগুলো কোনও না কোনও কারণে সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এমনই একটি দুর্গ হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলায় অবস্থিত, যার রহস্য আজও অসম্পূর্ণ।
এই রহস্যময় দুর্গ সম্পর্কে ধারণা করা হয় এখানে কোটি কোটি টাকার গুপ্তধন লুকিয়ে আছে। বলা হয়, আজ পর্যন্ত কেউ এই গুপ্তধনের কাছে পৌঁছতে পারেনি। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
হামিরপুরের এই দুর্গটি সুজনপুর দুর্গ নামে পরিচিত। গুপ্তধনের কারণে এই দুর্গকে 'ট্রেজার ফোর্ট'ও বলা হয়। এই দুর্গটি ২৬৩ বছর আগে অর্থাৎ ১৭৫৮ সালে কাটচ রাজবংশের রাজা অভয় চাঁদ তৈরি করেছিলেন। এরপর রাজা সংসারচাঁদ এখানে রাজত্ব করেন। দুর্গ সম্পর্কে কথিত আছে যে আজও এই দুর্গে রাজা সংসার চাঁদের গুপ্তধন রয়েছে।
এই দুর্গ সম্পর্কে বলা হয় এর ভেতরে রয়েছে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। টানেলের রাস্তাও খুব কড়া এবং অন্ধকারে পূর্ণ। বলা হয়, ১০০ মিটারের বেশি এই সুড়ঙ্গের ভেতরে যাওয়ার কথাও কেউ ভাবত না। দুর্গের পাশে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা জানান, রাতে দুর্গ থেকে অদ্ভুত আওয়াজ আসে।
গ্রামবাসীরা বলে যে ধন রক্ষা করার জন্য দুর্গে আধ্যাত্মিক শক্তি বিদ্যমান। তবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কথিত আছে যে রাজা সংসার লুট করা ধন লুকনোর জন্য এই সুড়ঙ্গ বা টানেল ব্যবহার করেছিলেন। এই সুড়ঙ্গে একটি গোপন পথও রয়েছে। এটি সরাসরি ওই গুপ্ত ধনের কাছে নিয়ে যায়। অনেকে এই গুপ্তধনের জন্য সন্ধান করলেও তা খুঁজে পাননি। এমনকি রাজার পরিবারও জানতেন না এই গুপ্তধনের রহস্য।
No comments:
Post a Comment