ঘি ব্যবহারে পান সুন্দর কলম ত্বক
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ মে : ঘি-এর ব্যবহার বহু পুরোনো। তবে শুধু রান্নায় নয় ত্বকের যত্নেও ঘি ব্যবহার করা হয়। বহু বছর ধরে ঘি একটি প্রাকৃতিক ত্বকের যত্নের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সমৃদ্ধ, যা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নের রুটিনে ঘি ব্যবহারের উপকারিতা-
ময়েশ্চারাইজার:
ঘি ত্বকের জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফ্যাটি অ্যাসিড , যা আর্দ্রতা লক করতে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ঘি এছাড়াও স্কোয়ালিন রয়েছে, একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঘি লাগালে ত্বক আরও কোমল হয়।
বার্ধক্য প্রতিরোধ করে :
ঘিতে ভিটামিন এ, ডি এবং ই পাওয়া যায়। ত্বক সুস্থ রাখতে এই ভিটামিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। ভিটামিন ডি দিয়ে ত্বককে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এর ফলে ত্বকের কোষের বৃদ্ধিও ঘটে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন ঘি ব্যবহার ত্বকের বলিরেখার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
জ্বালাপোড়া ত্বকে উপকারী:
জ্বালাপোড়া ত্বকেও ঘি খুবই উপকারী। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিরক্তিকর ত্বককে প্রশমিত করতে সহায়তা করে। ঘি-তে বিউটারিক অ্যাসিডও রয়েছে, একটি প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঘি লাগালে তা লালভাব, ফোলাভাব ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
ঘি ব্যবহার পদ্ধতি:
১.মুখে সামান্য ঘি লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
২. এটি নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করুন।
৩.ফাটা ঠোঁটের জন্যও ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ঠোঁট নরম হয়।
এছাড়া শিয়া মাখনের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে শরীরে লাগাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment