অগ্নিকে সাক্ষী রেখে কেন করা হয় বিয়ে?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৪মে : বিয়ে হল দুটি মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা আজীবন বন্ধন। এটি দুটি মানুষকে চিরসাথী করে রাখার একটি অতি প্রাচীন ঐতিহ্য। অন্যদিকে বিয়েকে অন্য কথায় বলতে গেলে একটি সম্পর্ককে সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতি দেওয়া। সনাতন ধর্মে অনেক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে বিয়ে হয়। এর মধ্যে একটি আচার-অনুষ্ঠান হল আগুনকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করা।
সাতপাক:
ধর্মীয় গ্রন্থে অগ্নিকে সূর্য দেবতার প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূর্য পৃথিবীর আত্মা এবং বিষ্ণুর রূপ। অগ্নিকে প্রদক্ষিণ করা মানে পরম পিতার সামনে প্রদক্ষিণ করা। এভাবে অগ্নিরূপে সকল দেবতাকে সাক্ষী মনে করে পবিত্র বন্ধনে বেঁধে রাখার বিধান করা হয়েছে ধর্মীয় শাস্ত্রে। এই কারণেই অগ্নি প্রদক্ষিণ ছাড়া বিবাহ সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না।
বৈদিক নিয়ম অনুসারে, বিয়ের সময় আগুনের সঙ্গে পাক নেওয়া হয়। নববধূ প্রথম তিন পাক এবং বর চার বার পাক নেন। এই চারটি পাক প্রতীক- ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ- এর।
মঙ্গলসূত্র:
বিয়ের সময় বর কনের গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেয়। এটি ছাড়া বিয়ে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। মঙ্গলসূত্রে কালো রঙের মুক্তার তার, ময়ূরের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই মঙ্গলসূত্র বিবাহিত মহিলাকে অশুভ হাত থেকে রক্ষা করে। যদিও ময়ূর স্বামীর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। কালো মুক্তা খারাপ চোখ থেকে রক্ষা করে এবং শারীরিক শক্তির ক্ষতি রোধ করে।
সিঁদুর:
সনাতন ধর্মে বিয়ের সময় বর সিঁদুর পড়িয়ে দেন স্ত্রীকে। একজন বিবাহিত নারী তার স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে, সিঁদুর হল সুখী হওয়ার প্রতীক। সিঁদুরে পারদের মতো ধাতুর আধিক্যের কারণে মুখে বলির দাগ পড়ে না। এবং অশুভ দোষ দূর করার জন্য শাস্ত্রে মহিলাদের সিঁদুর লাগিয়ে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment