বিপাকে অভিষেক! সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে আর্জি শুনতে মানা হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ মে, কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের একটি ডিভিশন বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছে। সোমবার থেকে হাইকোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তার আগে শনি ও রবিবার ছুটি থাকে।
শুক্রবার অনেক পূর্বনির্ধারিত বিষয় রয়েছে। বেঞ্চ বলেছে যে তারা শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি করতে পারবে না। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।
এই প্রসঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, “অনেক নজির আছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। তারা সাইটে আপলোড প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমাদের অনেক কাজ আছে, বিষয়টি এখন শোনা যাবে না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে তা সম্ভব হবে।"
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, "আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন। " বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠানো হয়। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অভিষিক্ত কুন্তল ঘোষের আইনজীবী বেঞ্চের সিদ্ধান্তের পরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পৌঁছান।
তৃণমূল নেতা এবং অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে নিয়োগের মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য তাকে 'চাপ' দেওয়া হচ্ছে। কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করার একদিন আগে কলকাতার শহীদ মিনারে এক সভায় অভিষেক একই অভিযোগ করেন।
মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষের মতো নেতারাও যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে ছিলেন তখন অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য 'চাপ' দেওয়া হয়েছিল। এরপর কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়টি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের সামনে আসে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে জরিমানা করেছে আদালত
এর পরে, এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়, বিচারক বলেছিলেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ইডি) এবং সিবিআইও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পাল্টা দাবী করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখান থেকে হাইকোর্টে পৌঁছায় এবং বেঞ্চও বদল হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা আবেদনে আদালতের আদেশ সংশোধন বা বাতিল করার কোনও যোগ্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে সে কারণে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অবিলম্বে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন অভিষেক। সেই আবেদনের ওপর তাৎক্ষণিক শুনানির জন্য বেঞ্চ রাজি হয়নি।
No comments:
Post a Comment