আফ্রিকান গাঁদা চাষে ভাগ্য পরিবর্তন চাষীর
রিয়া ঘোষ, ১৩ মে : ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজের পাশাপাশি বিহারের কৃষকরাও ব্যাপকভাবে উদ্যানজাত ফসল চাষ করছেন। এর ফলে উদ্যান চাষে বিপ্লব এসেছে। একই সঙ্গে এখন ফুল চাষও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে। রাজ্যের হাজার হাজার কৃষক গাঁদা ফুল চাষ করে ভাল আয় করছেন। কিন্তু সিনভ জেলায় বসবাসকারী কৃষক গুড্ডু কুমারের গল্প ভিন্ন। আফ্রিকান গাঁদা চাষ করে মানুষের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ২৪ বছর বয়সী গুড্ডু কুমার। এখন আশপাশের কৃষকরা আসছেন গুড্ডুর কাছ থেকে চাষের গুণাগুণ শিখতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গুড্ডু কুমার সিওয়ানের নওতান ব্লকের বাসিন্দা। গুড্ডুর বাবা সনাতন পদ্ধতিতে ধান ও গম চাষ করতেন। কিন্তু গতানুগতিক চাষাবাদ ছেড়ে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে চাষ শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন গুড্ডু। তারপর, তিনি হরিয়ানায় গিয়ে ফুল চাষের উপর একটি কোর্স করেন। প্রায় তিন বছর আগে হরিয়ানা থেকে আসার পর, গুড্ডু তার গ্রামে গাঁদা ফুলের চাষ শুরু করেন। এ চাষে ভালো লাভ হয়েছে।
তারা নিজেরাই নওতান বাজারে গিয়ে ফুল বিক্রি করে
প্রায় এক বিঘা জমিতে আফ্রিকান গাঁদা চাষ করছেন গুড্ডু কুমার। তা থেকে তিনি প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করছেন। তিনি কলকাতা থেকে আফ্রিকান গাঁদা চারা এনে তার জমিতে রোপণ করেন। গুড্ডু জানান, বিয়ের মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এমতাবস্থায় এই সময়ে তাদের আয় আরও বেড়ে যায়। বিশেষ ব্যাপার হলো ফুল বিক্রি করতে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না গুড্ডুকে। তিনি নিজে নওতান বাজারে গিয়ে ফুল বিক্রি করেন
গুড্ডু কুমার জানান, আফ্রিকান গাঁদা চাষে তার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। গাছ লাগানোর প্রায় ৩ মাস পরে ফুল আসে। তারা বছরে ১০ থেকে ১২ বার ফুল তোলে। এভাবে বছরে এক হেক্টরে ১৫ টন গাঁদা ফুল বিক্রি করেন তারা। গুড্ডু জানিয়েছেন, এটি এমন একটি ব্যবসা, যাতে কম খরচে বেশি লাভ হয়। বিয়ের মৌসুমে এক কেজি গাঁদার দাম দাঁড়ায় ৩০০ টাকা। তবে সাধারণ দিনে এর রেট ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। কৃষক গুড্ডু কুমার গাঁদা চাষে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করেন। বিশেষ করে গোবর ব্যবহারে ফুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
No comments:
Post a Comment