গঙ্গা আরতির পর এবার প্রসাদ পাবেন ভক্তরা! সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ মে, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাণসীর মতো রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতির উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে গঙ্গা আরতি দেখতে কলকাতায় ভিড় করছেন প্রচুর পর্যটক। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে গঙ্গা আরতি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন এবং এবার যারা গঙ্গা আরতি দেখতে আসবেন তাদের জন্য খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
এক ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার আরতির পর সপ্তাহে একবার ভোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরতির পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
আরতি দর্শনের পর দর্শনার্থীরা খিচুড়ি উপভোগ করছেন। গঙ্গা আরতি দেখার পর দর্শনার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ এই খিচুড়ি ভোগ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গঙ্গা আরতি দেখতে প্রতি সন্ধ্যায় প্রায় এক হাজার ভক্ত বাদে কদমতলা ঘাটে আসেন।
সপ্তাহের শেষ দিন শনিবার ভিড়টা একটু বেশিই থাকে। তাই এদিন ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় ১০০ কেজি চাল, ৫০ কেজি ডাল, ৩ থেকে ৫ কেজি ঘি, কাজুবাদাম, কিসমিস এবং বিভিন্ন শাকসবজি ও মশলা দিয়ে খিচুড়ি ভোগ তৈরি করা হয়।
শালপাতার বাটিতে খিচুড়ির প্রসাদ দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বর্তমানে শনিবার সন্ধ্যায় প্রসাদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে অদূর ভবিষ্যতে এই দিনটি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার দেবী গঙ্গা মন্দিরে আরতির সাথে এই ভোগ দেওয়া হয়। এরপর আরতি শেষে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। কলকাতা পুরসভা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ভোগ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে।
কলকাতায় দর্শনীয় স্থানের তালিকায় একটি নতুন সংযোজন হল গঙ্গা ঘাট আরতি। এই জরাজীর্ণ কদমতলা ঘাটকে আন্তর্জাতিক স্তরের পর্যটন কেন্দ্র করতে চাইছে রাজ্য সরকার। গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রতি সন্ধ্যায় গঙ্গা পূজার সাথে গঙ্গা আরতি দর্শনও করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতায় শুরু হল গঙ্গা আরতি
বারাণসীর গঙ্গা ঘাটে আরতি দেখে মুগ্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ঘাটে এই ধরনের আরতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
এই আরতি শুরুর আগে ঘাটে মা গঙ্গার মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এখানে মা গঙ্গার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার মন্দিরের সামনে শালপাতার তৈরি বাটিতে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয় দর্শনার্থীদের।
তবে আগামীতে এই ভোগ দিবস বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।
No comments:
Post a Comment