আপনি কি জানেন স্তন্যপান মা ও শিশু,উভয়ের জন্যই লাভদায়ক? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 16 May 2023

আপনি কি জানেন স্তন্যপান মা ও শিশু,উভয়ের জন্যই লাভদায়ক?


আপনি কি জানেন স্তন্যপান মা ও শিশু উভয়ের জন্যই লাভদায়ক?

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৬ মে: বুকের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার। কারণ মায়ের দুধে টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। বুকের দুধ পান করা শিশুর ঠান্ডা, সাইনাস, কানের সংক্রমণ, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অনেক সমস্যা হয় না। 

স্তন্যপান মা ও শিশু, দুজনের জন্যই ভালো। জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ::

মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি -

এটা অনেকেই জানেন না যে,  বুকের দুধ পান করালে মায়ের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। এটি হার্টের সমস্যা, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।  বুকের দুধ পান করানোর সময় প্রোল্যাক্টিনের মতো হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি জরায়ুর স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে।

শিশুদের জন্য দীর্ঘকালীন লাভ -

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বুকের দুধ শিশুর জীবনের সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য অবদান রাখে। যে সকল শিশুদের কিছু সময়ের জন্য বুকের দুধ পান করানো হয় না তাদের ওজন, স্থূলতা এবং বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

শিশুর বিকাশের জন্য -

মায়ের দুধ শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। এতে রয়েছে সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, প্রোটিন এবং চর্বি।  এগুলো শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে। মায়ের দুধে উপস্থিত অ্যান্টিবডি, এনজাইম এবং হরমোন নবজাতকদের ভালো পুষ্টি জোগায়।

হাড় শক্তিশালী করে -

বুকের দুধ পান করানো শুধুমাত্র শিশুকেই সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম দেয় না, মায়ের শরীরকে হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম শোষণ করতেও সাহায্য করে। এটি মায়ের নিতম্ব এবং মেরুদণ্ডের সমস্যা এড়ায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় -

কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, কমপক্ষে চার মাস বুকের দুধ পান করালে একজিমা, হাঁপানি এবং খাদ্য অ্যালার্জির ঝুঁকি কমে যায়। এটি কম চর্বি এবং উচ্চ প্রোটিন পরিবহন করে। এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও পরিচিত।

আকস্মিক মৃত্যুর সমস্যা -

ছয় মাস ধরে বুকের দুধ পান করালে শিশুর SIDS হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত একটি শিশু হঠাৎ করে মারা যেতে পারে। বুকের দুধ, যা শিশুকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে, ৫০% পর্যন্ত SIDS এর ঝুঁকি কমায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে -

বুকের দুধ শিশুদের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে পারে।  বুকের দুধ হজকিনস ডিজিজ এবং লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়ার মতো রোগেও সাহায্য করে বা প্রতিরোধ করে।

ভালো হজম করায় -

বুকের দুধ পান করা শিশুদের ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যা হয় না। বুকের দুধের পুষ্টির গঠন সর্বোত্তম, কারণ এটি শিশুদের একটি স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়।

মায়ের ওজন কমাতে সাহায্য করে -

বুকের দুধ পান করালে মায়ের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায়। উপরন্তু, মা তার গর্ভাবস্থার আগের শারীরিক স্বাস্থ্য ফিরে পেতে পারেন। একজন মায়ের সাধারণত প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। বলা হয় যে বুকের দুধ পান করালে ৫০০ ক্যালোরি বার্ন হয়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় -

বুকের দুধ পান করানো মাকে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এই প্রক্রিয়া শিশু এবং মায়ের টাইপ১ এবং টাইপ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।  ডায়াবেটিস স্নায়ুর ক্ষতি, কিডনির ক্ষতি, চোখের ক্ষতি এবং হার্টের সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

ভালো দৃষ্টিশক্তি -

বুকের দুধ পান করালে শিশুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। কিছু গবেষণা বলে, যে শিশুরা বুকের দুধ পান করে তাদের দৃষ্টির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

প্রসবোত্তর স্বাস্থ্য -

প্রসবের পর মায়ের শরীরে প্রায়ই রক্তশূন্যতা দেখা যায়। উপরন্তু, জরায়ুর আকার প্রসারিত হয়।  বুকের দুধ পান করালে মায়ের শরীরে রক্তশূন্যতা হয় না।  এছাড়াও জরায়ু সঙ্কুচিত হয় এবং সুস্থ হয়ে ওঠে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad