মোচার জের! বাংলায় উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা, ১৫ মে পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ মে : রবিবার বিকেলে প্রবল বেগে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোচা। এমন পরিস্থিতিতে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ২১০ কিলোমিটার। মোচার প্রভাব বাংলার আকাশেও পড়বে, তবে সরাসরি প্রভাব পড়বে না। সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
সুপার সাইক্লোনটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ল্যান্ডফলের স্থানটি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কক্সবাজারের মধ্যবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমারের উপকূল বরাবর হবে। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ১৪ মে রবিবার আন্দামান, নিকোবর উপকূলে জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গোটা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। রবিবার, আন্দামান সাগরে উচ্চ জোয়ারের অবস্থা থাকবে।
মোচার প্রভাবে রবিবার কলকাতা এবং দুই চব্বিশ পরগনায় আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরেও আকাশ মেঘলা থাকবে, তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দিঘার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ মে (সোমবার) পর্যন্ত সমুদ্রে স্নানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিঘার উপকূলীয় এলাকায় মাইক লাগিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। তাদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুধু দিঘা নয়, মন্দারমণি, তাজপুর, দিঘার আশেপাশের সমস্ত সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। উল্লেখ্য, অতীতে যখনই কোনও দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তখনই উপকূলীয় থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগরে আলোড়ন সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে পুলিশ। রবিবার ও সোমবার দিঘার আশেপাশের সমুদ্র সৈকতে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment