দেবীর অভিশাপে অভিশপ্ত এই পর্বত
পিঙ্কি রায়,৬ মে : আজও উত্তরপ্রদেশের বান্দার বিখ্যাত মা বিন্ধ্যবাসিনীর খত্রী পর্বতের ইতিহাস আকর্ষণীয়। কথিত আছে যে, মা বিন্ধ্যবাসিনী রাগে মির্জাপুরে এলে খত্রী পর্বত মায়ের ভার বহন করতে অস্বীকার করে। এতে রেগে গিয়ে মা বিন্ধ্যবাসিনী অভিশাপ দেয় ওই পর্বতকে।যেন এই পর্বত কুষ্ঠরোগীতে পরিণত হয় , অর্থাৎ এই পাহাড় যেন সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায় । যদিও এখনও সেই ভাবে রয়েছে ওই পর্বত। তবে এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এখানে অষ্টমী ও নবমীতে মা বিন্ধ্যবাসিনী বাস করেন। এই মন্দিরের রিসিভার হলেন নারাইনী তহসিলের তহসিলদার।
বিন্ধ্য পর্বতে উপবিষ্ট শ্রী সিদ্ধিদাত্রী মাতা বিন্ধ্যবাসিনী দেবী এমনই এক আদি শক্তি, যাকে দেবতারাও পূজো করতেন।
মা বিন্ধ্যবাসিনী বান্দার গিরওয়া অঞ্চলের খত্রী পর্বতে থাকেন। কংস যখন দ্বাপরে মা দেবকীর সন্তানদের হত্যা করছিলেন বলে মনে করা হয়। তারপর দেবকীর কন্যা সন্তানকে কংস যখন হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন তিনি মা রুপ ধারণ করে, কংসের হত্যার কথা বলে আকাশে মিলিয়ে যান।
মা বিন্ধ্যবাসিনী খত্রী পর্বতে কুষ্ঠরোগী হওয়ার অভিশাপ দেওয়ার পর মা সেখান থেকে বিন্ধ্যাচল ধামে (মির্জাপুর) চলে আসেন। তখন থেকে এই পাহাড়কে অভিশপ্ত বলা হলেও পরে মা এখানে এসে বিরাজমান হন বলে বিশ্বাস করা হয় ।
বান্দা জেলা সদর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিদ্ধ শক্তিপীঠ শ্রী সিদ্ধিদাত্রী বিন্ধ্যবাসিনী খত্রী পাহাড় আকবরপুরের ১০ দিনের নবরাত্রি মেলা উৎসবে হাজার হাজার ভক্ত আসেন। এ ব্যাপারে মেলা পরিচালনা কমিটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এই খত্রী পাহাড় বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশের সীমান্ত সংলগ্ন।
এ সময় মধ্যপ্রদেশের ছতারপুর, সাতনা, পান্না, ভোপাল, জবলপুর, গোয়ালিয়র এবং উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মহোবা, হামিরপুর, চিত্রকুট, ফতেহপুর, কানপুর, লখনউ এবং প্রয়াগরাজ জেলা থেকে লোকজন বেড়াতে আসেন। প্রতি বছর এখানে শতচণ্ডী মহাযজ্ঞ রামলীলাসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
No comments:
Post a Comment