তিতির চাষে লাভের মুখ, এভাবে বাড়বে আয়
রিয়া ঘোষ, ২৪ মে : ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা প্রচুর চাষাবাদের পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন করেন। মাংস ও ডিম বিক্রি করে চাষিরা ভালো আয় করছেন। বিশেষ বিষয় হল বিভিন্ন রাজ্যে, মুরগি ও হাঁসের চাষ শুরু করার জন্য সরকার কৃষকদের ভর্তুকিও দেয়। একই সঙ্গে গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যেও এখন তিতির পালনের প্রবণতা দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। কারণ গ্রামাঞ্চলে ডিমের পাশাপাশি তিতির মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এতে করে তিতির পালন চাষিরা ভালো আয় করছেন।
একই সঙ্গে মুরগির চেয়ে তিতির খামারে বেশি লাভ রয়েছে বলে মনে করেন খামারিরা। এটি অনুসরণ করতে কম খরচ হয়। কৃষক ভাইয়েরা যদি তিতির পালন শুরু করতে চান, তাহলে তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। আসলে, ফিজ্যান্ট একটি বন্য পাখি। নির্বিচারে শিকারের কারণে এখন গ্রাম থেকে বনে তিতির বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় তিতির খাওয়ার শৌখিন লোকজন তিতির ডিম ও মাংস কিনছেন তিতির শাবকদের কাছ থেকে। গ্রামাঞ্চলে তিতির কোয়েল নামেও পরিচিত।
একটি তিতির বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম পাড়ে
বিশেষ বিষয় হল তিতির চাষ শুরু করতে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। কৃষক ভাইয়েরা চাইলে মাত্র কয়েক হাজার টাকায় ঘরের ভিতরে তিতির চাষ শুরু করতে পারেন। একটি তিতির বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম পাড়ে। কৃষক ভাইরা যদি ১০টি তিতির পালন করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে বছরে ৩ হাজার ডিম বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারবেন।
তিতির ৪৫ দিনের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে
তিতির সঙ্গে প্রচুর তিতির জন্মায়। জন্মের এক মাস পরে, এর ওজন ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে যায়। সে ৪৫ দিন পর ডিম পাড়া শুরু করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিতির ডিম ও মাংস খেলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ও পুষ্টি পায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। এ কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে বিক্রি হয় তিতির মাংস ও ডিম।
No comments:
Post a Comment