তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার
রিয়া ঘোষ, ১৬ মে : দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে তেলাপিয়া চাষ করা হচ্ছে। তবে কিছু রোগ তেলাপিয়া মাছকে প্রভাবিত করে। জেনে নিন তেলাপিয়া রোগ সারাতে করণীয়।
রোগের লক্ষণ
মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়, অঙ্ক দেশে দাগ দেখা যায় এবং মাছের পিত্তথলি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। এই রোগ শুধুমাত্র ১০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের মাছে দেখা যায়। মাছ সংক্রমিত হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত মারা যায়। মৃত্যুর আগে মাছ কুন্ডলি আকারে চলাচল করে।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জাতীয় কোনও অণুজীব আক্রমণ করলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়। এছাড়াও, আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার বা আগাছা নিধনকারী ব্যবহার করা হলে মাছ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ করা হয়।
অন্যদিকে, প্রতিটি খাঁচায় মাছের উচ্চ ঘনত্ব, খাঁচার ভিতরে জলের pH মানের তারতম্য এবং খাঁচায় কম অক্সিজেন সরবরাহের কারণেও মাছের রোগ দেখা দেয়।
মাছ রোগাক্রান্ত হলে কি করবেন
খাঁচায় অক্সিজেন বাড়াতে হবে, খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে।
এ ছাড়া জাল পরিষ্কার রাখতে হবে, অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বাড়াতে হবে এবং খাঁচাগুলো সারিবদ্ধ না করে আঁকাবাঁকা রাখতে হবে।
পরিচর্যা
তেলাপিয়া মজুদ করার ১ মাস পরে, প্রতি ডেসিমেল ১ মিটার গভীরতায় ১০০ গ্রাম চুন যোগ করতে হবে। পানির pH এর উপর নির্ভর করে পরিমাণ বাড়াতে বা কমাতে হবে। প্রতি ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর জাল টানতে হবে এবং মাছের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং খাদ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। খাওয়ানোর ১ ঘন্টা পরে পুকুরগুলি পর্যবেক্ষণ করা উচিৎ। যদি পুকুরে খাবার পাওয়া যায়, তার মানে পুকুর বা মাছের সমস্যা আছে বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
একটানা মেঘের আচ্ছাদন বা অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে বা খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে। জলপাখি এক পুকুর থেকে অন্য পুকুরে রোগ ছড়ায়। তাই পুকুরে পাখিদের প্রবেশ ঠেকাতে রঙিন বিমগুলি পুকুর জুড়ে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment