গোলাপ-গাঁদা চাষে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার, অবিলম্বে আবেদন করা উচিৎ
রিয়া ঘোষ, ০৫ মে : বাড়িতে, অফিসে এবং অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। এ থেকে চাষিরা ভালো আয় করছেন। প্রতিটি ফুল বাজারে বিক্রি হয় ১০ টাকায়। অনেক সময় ফুল প্রতি ৫০০ টাকা বা তারও বেশি দাম চলে যায়। ফল ও সবজির পাশাপাশি দেশের চাষিরা ফুল চাষ করেও ভালো লাভ করতে পারেন। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার ফুল চাষের প্রচারের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজস্থান সরকার এখন ফুল চাষের প্রচারের জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকরা সরাসরি এর অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন।
রাজস্থান সরকার ফুল চাষে ভর্তুকি দেবে
রাজস্থানে ফুলের চাষ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রাজস্থানে ফুল চাষ করা কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। ২ হেক্টর জমিতে আলগা ফুল যেমন দেশি গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গেইলার্ডিয়া চাষের জন্য মোট খরচের উপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ ১৬ হাজার টাকা হবে। একই সময়ে প্রতি হেক্টরে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সময়ে, অন্যান্য কৃষকদের ২৫ শতাংশ অনুদান দেওয়া হবে, সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা।
ফুলের বাগানের জন্য ভর্তুকি প্রকল্প অনেক জেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আজমীর, আলওয়ার, বাঁশওয়াড়া, বারমের, ভিলওয়াড়া, বুন্দি, চিতোরগড়, ডুঙ্গারপুর, শ্রীগঙ্গানগর, জয়পুর, জয়সালমের, জালোর, ঝালাওয়ার, ঝুনঝুনু, যোধপুর, কোটা, নাগৌর, পালি, সিরোহি, সওয়াই মাধোপুর, টঙ্ক, বারানপুর, উদয়পুর হয়।
কোনও কৃষক যোগাযোগ করলে, এই ধরনের কৃষককে প্রতি কেজি ১.০০ টাকা হারে গোবর সার এবং ১.৫০ টাকা কেজি হারে ভার্মি কম্পোস্ট দেওয়া হবে। আপনার বিস্তারিত বর্ণনাও ফুলের বাগানে পূরণ করতে হবে। এ জন্য কৃষককে বাগানে বোর্ড লাগাতে হবে। কৃষকের নাম, ঠিকানা, বাগানটি যে বছর লাগানো হয়েছিল, মোট এলাকা, ফুলের প্রজাতির নাম, ভর্তুকির বিবরণও বোর্ডে লিখতে হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখুন
ফুলের বাগান করার জন্য কৃষকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে হবে। এতে আধার কার্ডের কপি, জমাবন্দির কপি, কৃষকের হলফনামা, জন আধার বা ভামাশাহ কার্ডের কপি রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment