'যারা দলের জন্য খারাপ করে তাদের হাত-পা ভেঙে দিন', নিদান তৃণমূল নেতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৬ মে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশিপুরের গণেরিত গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় চলছে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার না হলে থানা ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। সেই সঙ্গে দলের বিরুদ্ধে কেউ বাজে কথা বললে 'হাত-পা' ভাঙার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
ভাঙড়ের কাশিপুর গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল আরাবুল। প্রতিবাদ সভা থেকে পুলিশকে সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন, “যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের অবিলম্বে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার করা উচিৎ। অন্যথায় আগামী দিনে থানায় ঘেরাও করা হবে।”
একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরাবুল বলেন, “আমি দলের কর্মীদের বলছি, যারা তৃণমূলের নামে গালিগালাজ করে, তাদের গ্রামের ভিতর থেকে ধরতে হবে। তাদের ধরে বেঁধে পিষে ফেলতে হবে।"
ভাঙড় বিস্ফোরণের পর এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি
মঙ্গলবার বিস্ফোরণে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার বাড়ির একটি অংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় আহত হন শরিফুলের স্ত্রী রওশনারা বিবি।
যদিও রোশনি নারা দাবী করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফ জড়িত। ১৩ জন ISF কর্মীর নামে কাশিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন আরাবুল-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
তবে, ভাঙড় বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বিস্ফোরণের ঘটনার NIA তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের পর এলাকায় এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ওই বোমার বিস্ফোরণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী স্থানীয় আইএসএফ নেতাদের। অপরদিকে স্থানীয় এক নারী জানান, রোশানা বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। এ সময় বিস্ফোরণে ওই নারী আহত হন।
ঘটনার শুরু থেকেই আইএসএফ বলে আসছিল বাড়িতে বোমা রাখা হয়েছে। বোমা ফেটে যায়। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে রোশনা বিবিকে দল বদল করতে চাপ দিচ্ছিল আইএসএফ।
তৃণমূল ছাড়তে রাজি হননি রোশনা বিবি। বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূল-আইএসএফ-এর অ্যাকশন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে কেন এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment