বেনজির! প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষিত ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১২ মে, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেনজির রায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তবে, এখনই চাকরি যাচ্ছে না, আগামী চার মাস তারা স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পাবেন এবং এই সময় পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে বেতন পাবেন তারা। পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের আমলে দুর্নীতি হয়েছে। সরকার যদি মনে করে, সেক্ষেত্রে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ প্রাক্তন চেয়ারম্যানের থেকে নিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়। এরপর তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে সাড়ে ৪২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৩৬ হাজার জনই ছিলেন ওই মুহূর্তে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক। ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। আরও অভিযোগ উঠেছিল, ঐ নিয়োগের সময় কোন অ্যাটিটিউড টেস্ট নেওয়া এবং সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি। সেই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কী রায় দেন, সেদিকেই নজর ছিল সকলের। আর শুক্রবার নজিরবিহীন রায় দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে, বাকি প্রশিক্ষিতদের চাকরি বহাল থাকছে।
যদিও এই মুহূর্তে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হচ্ছে না ২০১৬-তে প্রাথমিকে নিয়োগ পাওয়া অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের। হাতে চার মাস সময় পাবেন তারা এবং বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে। উল্লেখ্য, এই সময়কালের মাঝে কেউ যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তারা অবশ্য একটি সুযোগ পাবেন ইন্টারভিউতে বসার। কিন্তু যারা অপ্রশিক্ষিত হয়েও চাকরিতে ঢোকার পর এখনও প্রশিক্ষণ নেননি, তাদের চাকরি সম্পূর্ণভাবে বাতিল হচ্ছে।
চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি এদিন আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
No comments:
Post a Comment