৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ মে, কলকাতা: ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ। শুক্রবার এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা আগামী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তবে, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়। এরপর তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে সাড়ে ৪২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। আরও অভিযোগ উঠেছিল, ঐ নিয়োগের সময় কোন অ্যাটিটিউড টেস্ট নেওয়া এবং সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি। সেই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২ মে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। যদিও হাতে চার মাস সময় পাবেন তারা এবং বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে। চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি এদিন আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নির্দেশও দেয়কলকাতা হাইকোর্ট।
এরপর যদিও সেই রায় সংশোধনের জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। তিনি জানান, 'অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, ৩০ হাজার ১৮৫। লেখায় ভুল হয়েছে।' এরপর সেই সংখ্যা কমে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়ায়। এরই মধ্যে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আজ শুক্রবার তারই রায় ঘোষণা হল। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
No comments:
Post a Comment