চলন্ত ট্রেনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৪ মে: ভ্রাম্যমাণ রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হল ট্রেনে। এক প্রতিবন্ধী সংস্থার তরফে রবিবার এই আয়োজন করা হয়। নাচ-গান, কবিতা-আবৃত্তি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করেন সকলেই এবং সবটাই হয় চলন্ত ট্রেনের এক কামরায়। এদিন বারাসত-বনগাঁ শাখার লোকাল ট্রেনে বনগাঁ থেকে বারাসত আবার বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি বারাসত জংশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মেও নাচ গানের অনুষ্ঠান করেন তারা।
প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র বনগাঁ শাখা উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, "আমরা প্রতি বছর এইভাবে চলমান কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। এর জন্য রেল কর্তৃপক্ষও আমাদের সঙ্গে আছেন। প্রতিবছর এই ভ্রাম্যমান কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি এবং স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।"
তিনি জানান, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর পৌর পিতা গোপাল শেঠ, ওসি, স্টেশন পুলিশের নেতৃত্ববৃন্দ, অসংখ্য নাগরিক। এদিন তাদের যাত্রা শুরু হয় ৯.২৮-এ বনগাঁ স্টেশন থেকে।
প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের রাজ্যের সেক্রেটারি বুদ্ধদেব শর্মা বলেন, 'আমরা প্রতিবছর রবিবার দেখেই রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান করি কারণ এদিন ট্রেনটা ফাঁকা পাই। ট্রেনে নাচ-গান-আবৃত্তি সহ নানান অনুষ্ঠান হয়।' তিনি জানান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদিন প্রতিবন্ধীদের ছাতাও বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ঠাকুরনগরের মাতৃত্বের বন্ধন সামাজিক সংস্থার তরফে সায়নী বিশ্বাস বলেন, "রবি ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী এভাবে পালন হচ্ছে, খুবই ভালো লাগছে। রেল কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আমরা ভীষণভাবে আপ্লুত।"
তিনি জানান, নৃত্যনাট্য, গান বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে করতে বনগাঁ থেকে বারাসত এবং ফের বনগাঁয় ফেরত যাবেন তারা। তিনি জানান, ২০১১ থেকে এই অনুষ্ঠান চললেও তারা প্রথম অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। সকলে খুব আনন্দ করেছি ছোট-বড় সবাই মিলে।'
No comments:
Post a Comment