আত্রাইতে ভেসে এসেছিলেন, সেই থেকেই শুরু মায়ের পুজো
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ১০ মে: এই বঙ্গের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লোকসংস্কৃতির আকর। বহু প্রাচীন কাল থেকেই হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি মিলিয়ে বাংলার নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। যেখানে তন্ত্রবিদ্যার এবং মাতৃ শক্তির আরাধনার প্রভাবই বেশি। মায়ের পদতলে বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে সন্তানের মত মায়ের আরাধনা করে চলেছেন। মা কালীর তেমনই একটি রূপ হল দেবী চামুণ্ডা।
দুই শতাধিক বছর আগে বালুরঘাটের আত্রাই নদীতে মা চামুণ্ডার একটি মুখা ভেসে আসে। দেবী বালুরঘাট শিবাজী কলোনী এলাকার এক ব্যক্তিকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে জানান যে, তিনি আত্রাই নদীতে ভেসে এসেছেন। ওই ব্যক্তি মাকে আত্রাই নদী থেকে নিয়ে আসেন দৌড়ে গিয়ে। তারপর থেকেই এই দেবীর পূজা শুরু হয়, এলাকার নামও দেবী চামুণ্ডার নামে চামুণ্ডা-তলা বলে পরিচিত হয়। প্রতিবছর বৈশাখের শেষ মঙ্গলবার এই দেবীর পূজা হয়ে থাকে।
বালুরঘাট খাদিমপুর এলাকা থেকে দেবী মূর্তি তৈরি করে ভক্তরা মন্দির পর্যন্ত মাকে দৌড়িয়ে নিয়ে আসে এবং মাকে মন্দিরে স্থাপন করেন বলে এই মাকে ভক্তরা দৌড়ানো কালী বলেও ডাকে। এই কালী পুজোর আগের সাত দিন বিভিন্ন লোকাচার মানতে হয় ভক্তদের। কঠিন ব্রত পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা মায়ের আরাধনা করেন।
এইবারের পুজোর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল এই বছরের বৈশাখ মাসের শেষ মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল ৯ মে। মায়ের ভক্তরা সাত দিন ধরে বিভিন্ন লোকনৃত্যের মধ্যে দিয়ে মাকে প্রসন্ন করর চেষ্টা করে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মায়ের পুজো ঘিরে ভক্তদের উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত।
No comments:
Post a Comment