বজবজ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সিআইডি তদন্ত শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ মে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বজবজ বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এগরা বিস্ফোরণের পর সিআইডি বজবজ বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল সেখানে পৌঁছায়। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির বারান্দায় গিয়ে বিভিন্ন জিনিস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডির আধিকারিকরা নমুনাও সংগ্রহ করছেন। এই নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। তাহলেই জানা যাবে এখানে কী ধরনের বাজি তৈরি করা হয়েছে। বজবজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যায় ওই কক্ষে পূজা চলছিল। সেখানে ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। তারপর হঠাৎ ধূপের আগুন বাজির কাছে পৌঁছে যায় এবং ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারের ঘটনার পর থেকে রাতভর তল্লাশি চলছে। মহেশতলা ও বজবজ এলাকা থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের হাতে এত বাজি বাজেয়াপ্ত করায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা চরম হতাশ। তার প্রতিক্রিয়া ছিল, ওই বাজির লাইসেন্স ছিল, কিন্তু পুলিশ তল্লাশির সময় কিছু না দেখে সব বাজিই বাজেয়াপ্ত করে। তারা মনে করেন তাদের ব্যবসা কার্যত শেষ।
বাজি বাজেয়াপ্ত করায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা, বিক্ষোভ
ব্যবসায়ীদের হতাশা সত্ত্বেও প্রশ্ন থেকে যায় যে এগুলো লাইসেন্সকৃত বাজি ছিল কিনা। তাহলে এত বাজি পুলিশ কিভাবে উদ্ধার করল? রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট ডেসিবেলের উপরে বাজিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই এলাকায় বহু বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা চলে।
বজবজ চিংড়িপোতা নন্দরামপুর গ্রামে সকাল থেকেই দুর্ঘটনার জেরে ওই গ্রামের প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখে এলাকার লোকজন। তিনি দাবী করেন, বাজিই এই এলাকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস। পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতি তাদের ক্ষোভ রয়েছে।
No comments:
Post a Comment