বিশ্বের সেই দেশ, যেখানে একটা গাছও নেই!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৩ মে: গাছকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়, একথা আমরা সবাই জানি। গ্রীষ্মকালে সূর্যের হাত থেকে রক্ষা হোক বা বায়ুমণ্ডল পরিষ্কার করার জন্যই হোক, গাছ আমাদের জন্য সব দিক থেকেই উপকারী। গাছের ছায়ায় হেঁটে বেরাতেও সবারই ভালো লাগে। পৃথিবীতে গাছ ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন বিশ্বের কিছু দেশে একটি গাছও নেই? এটা ঠিক যে, গাছ ছাড়া একটি সম্পূর্ণ দেশ কল্পনা করা খুব অদ্ভুত এবং ভীতিকর মনে হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল এই দেশগুলিতে সীমিত সংখ্যক গাছ দেখা পেলেও পেতে পারেন। কিন্তু এই সীমিত সংখ্যাটিও এতই কম যে এর অস্তিত্ব বা অ-অস্তিত্ব সমানভাবে বিবেচনা করা যায়। যেমন-
গ্রিনল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ড নাম শুনলেই যে কারও মনে ভেসে আসে গাছপালা, বনজঙ্গল আর স্নিগ্ধ সবুজের মতো কিছু সবুজ দৃশ্য। আপনার মনেও যদি একই রকম ছবি তৈরি হয় যে গ্রিনল্যান্ড হবে সম্পূর্ণ সবুজ, যেখানে চারিদিকে গাছ-গাছালি, ঘন বন বা বাগান থাকবে, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে গ্রিনল্যান্ডের হাজার হাজার মাইলের ভূ-ভাগের গাছপালার চিহ্ন নেই।
এই দেশটি সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা। এখানে চারদিকে বরফ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করতে আসেন, তাই এই দেশটির নামকরণ করা হয়েছে গ্রিনল্যান্ড, নামটি শুনলেই আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এখানে বসতি স্থাপনের জন্য আকৃষ্ট হতে পারেন।
কাতার
কাতার একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ দেশ, এটি নিরাপদ। এমনকি কাতারের এয়ারলাইন্সগুলো বিশ্বের বৃহত্তম এয়ারলাইন্সের অন্তর্ভুক্ত। এখানে আপনি বিশাল সংখ্যক আকাশচুম্বী ভবন এবং বাড়ি দেখতে পাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি দূর-দূরান্তে তাকালেও চট করে কোনও গাছ দেখতে পাবেন না। আশ্চর্যের বিষয় যে, এত সমৃদ্ধ দেশে একটি গাছও নেই।
কাতারে আপনি যেদিকেই তাকান না কেন, শুধু মরুভূমি দেখতে পাবেন। বছরে খুব কমই বৃষ্টি হয়। তবে, ৪০,০০০ টিরও বেশি গাছ নিয়ে একটি মানবসৃষ্ট বন তৈরির কাজ চলছে। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট বন।
No comments:
Post a Comment