ওপার বাংলায় মোকার তাণ্ডব! ৫ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্ৰস্ত হাজার হাজার মানুষ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাংলাদেশ, ১৫ মে: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোচা/মোকা/মোখা’র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশে কক্সবাজারের টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও মহেশখালী। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে ২ জন ও মহেশখালীতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ২ হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে টেকনাফ, কক্সবাজার, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন এলাকায় মোখার তাণ্ডবের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করেছেন। এছাড়াও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল। বিশেষ করে রাখাইন রাজ্য। সে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার সকালের দিকে জলে আটকে পড়া আরও প্রায় এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। এতে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সেখানের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে মোখা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার বাস্তব চিত্র এখনও মেলেনি।
এদিকে, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মঃ এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, 'সবকিছুই রিকোভার করা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনটা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন একটি লোকও যেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে, একটি লোকও যেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে না থাকে।' বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়ি ফিরে গেছে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
No comments:
Post a Comment