এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে বাড়ল মৃতের সংখ্যা, বদলি থানার ইনচার্জ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ মে, পূর্ব মেদিনীপুর : এগরা বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের মৃত্যুর সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ এ দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে এগরা থানার আইসি (ইন্সপেক্টর ইনচার্জ) মৌসুম চক্রবর্তীকে বদলি করেছে জেলা পুলিশ। এগরা থানার নতুন আইসি হবেন হুগলির স্বপন গোস্বামী। এগ্রায় বিস্ফোরণস্থলে স্থানীয় লোকজন এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীর তীব্র বিরোধিতা করেন। এমনকি স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আইসিকে নিন্দা করেছিলেন। এবার তাকে বদলি করা হয়েছে। স্বপন গোস্বামী দীর্ঘদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু থানায় ওসি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বপন গোস্বামী দীর্ঘদিন ধরে এগরা থানার ওসি ছিলেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মহিষাদলের ওসি থাকাকালীন তিনি আইসি পদে উন্নীত হন। তবে এ বদলির বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বপন গোস্বামীকে।
শুক্রবার ভবানী ভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এগরা থানার আইসি মৌসমকে হুগলি গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানায় বদলি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে হুগলি গ্রামীণ থানার আইসি স্বপনকে এগরা থানায় পাঠানো হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় এগরা বিস্ফোরণের পর কড়া নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের বেআইনি বাজি তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে বদলি করা হয়েছে এগরা থানার আইসিকে। এতদিন এগরা থানার আইসির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মৌসুম চক্রবর্তী। এখন তাকে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ইন্সপেক্টর পদে বদলি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এগরা থানার নতুন আইসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বপন গোস্বামীকে।
স্বপন গোস্বামী এর আগে এই থানায় চাকরি করতেন। এখন পর্যন্ত তিনি হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় আইসি পদে কর্মরত ছিলেন। এলাকা পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা স্বপন গোস্বামীকে আবারও এগরা থানায় আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরে স্থানীয় থানার আইসি-র ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন যে বাজি কারখানার মালিককে আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার জামিন পান।
সেই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, "জামিন পেয়েও ওই ব্যক্তি আবার একই কাজ কীভাবে করতে পারে?" তিনি বলেন, "আইসিকে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ যে ওই ব্যক্তি জামিন পেয়েও কেন একই কাজ করছেন।"
No comments:
Post a Comment