'আবর্জনা পার্টি নাম হওয়া উচিৎ', তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৯ মে: "এর নাম হওয়া উচিৎ আবর্জনা পার্টি", রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপি নেতা। সেখানেই তিনি শাসকদলের মুখোমুখি হন।
'দ্য কেরাল স্টোরি' নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, "কেরাল স্টোরি নিয়ে যদি সিনেমা হলে বাংলায় ব্ন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদি বেঙ্গল স্টোরি হয় তাহলে কি হবে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যের কাছে দাঁড়াতে সাহস পান না। সত্যের সঙ্গে থাকতে ওনার খুব কষ্ট, মিথ্যার সঙ্গে থেকে সত্যকে চাপা দিতে চান। তাই যে কেরালা স্টোরি যা সারা দুনিয়াতে চর্চা হচ্ছে, বহুবছর ধরে চলা একটি সমস্যা নিয়ে তৈরি সিনেমার উদ্দেশ্য সত্য দেখানো, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। আদালত আটকাতে পারছে না। সেন্সর বোর্ডও আটকায় নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকাচ্ছেন। কারণ বাংলার মানুষকে উনি সত্য জানতে দিতে চান না।"
তোপ দেগে তিনি বলেন, "কেবল রাজনীতি আর ভোটের চিন্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গের বা এই দেশের মানুষের মতো চিন্তা ওনার নেই। উনি সব সত্য চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেই তো মানুষ আজ ওনার বিরুদ্ধে কোর্টে গেছে, যাচ্ছে।"
মণিপুর হিংসা ম্যান মেড: বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যারই মেড হোক, উত্তর পূর্ব ভারত গত ৩০-৪০ ধরে আগুন জ্বলছিল। তারপর নরেন্দ্র মোদী এসেছেন, বিজেপিকে মানুষ জিতিয়েছেন, সব সমস্যার সমাধান হয়েছে; এখন বোম-বন্দুকও নেই, রক্তারক্তিও নেই। কিছু ছোট ছোট ব্যাপার আছে, বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ওখানে থাকেন, বিভিন্ন ধর্মের লোক থাকেন কোন বিষয় নিয়ে মতান্তর, ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। রকার পুরোপুরি সচেতন আছে। মণিপুর বিগত দিনে প্রচুর সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই সমস্যা থেকেও বেরিয়ে আসবে।"
আজ অমিত শাহ-বিএসএফ বৈঠক, এই নিয়ে তিনি বলেন, "গরুপাচার মামলায় ইডির চার্জ শিটে বিএসএফ-এর নাম আছে। সমাজের সর্ব স্তরে সাধারণ মানুষের মধ্যে কারুর দোষ থাকতেই পারে। ইডি-সিবিআই কাউকে ছেড়ে দেয়নি। এত বড় এককা ব্যাপার। হাজার হাজার কোটি টাকা দু-চার জন ফেঁসে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজে খোঁজখবর নিচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাচ্ছেন, খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমরা আশা করব পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে এই যে গরুপাচার ইত্যাদি সমস্যা আছে, ধীরে ধীরে কমবে।
বহরমপুরের দায়িত্ব নিচ্ছি, এমনই বলেছেন অভিষেকে। এই দিলীপের মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের দায়িত্ব নিচ্ছেন। উনি মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাহলে বাংলার দায়িত্ব কে নেবেন? উনি টার্গেট দিয়েছেন ৪০। আগেরবার মমতা টার্গেট দিয়েছিলেন ৪২। তখন ১২ টা সিট কমেছিল। জানিনা আরও ১২ টা কমবে কিনা। সময় বলবে। যেভাবে পার্টি ও সরকার চলছে, মানুষ মুক্তি চাইছে। সাগরদিঘিতে একটা ট্রেলার হয়েছে। সিনেমা শুরু হলে কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এছাড়াও দলে বেনোজল ঢোকায় অভিষেককে সভা করতে হচ্ছে, এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুরো তৃণমূলটাই বেনোজল। তৃণমূল ছিলটা কোথায়! সারা সমাজের আবর্জনা নিয়ে এই পার্টিটা চলছে। এর নাম হওয়া উচিৎ আবর্জনা পার্টি।"
No comments:
Post a Comment