বাজি কারখানায় আগুন নিয়ে খোঁচা দিলীপের
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২২ মে, কলকাতা: 'সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনও দিন সমাধান হবে না', বজবজে বাজি কারখানায় আগুন নিয়ে খোঁচা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের। সোমবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন।
এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় আগুন, এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এটা অনেকদিন চলছে। বেশিরভাগ বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলে। তাদের ক্যাপাসিটি বা নিয়ম-কানুন কিছুই মানা হয় না। এটা সরকার, পুলিশ সবাই জানে। ভালো ইনকাম, তাই সবাই এটাকে অ্যালাও করে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ গরীব লোক এখানে কাজ করে, তাদের জীবন হানি হয়। যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ বা ৯ জন মহিলা যারা মারা গেছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গেছে। পুলিশ সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনও দিন সমাধান হবে না।'
এগরায় বিজেপির মহামিছিল প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, "আগামীকাল বড় প্রতিবাদ সভা রয়েছে। বিরোধী দলনেতা থাকবেন, আমি এখনও ঠিক করতে পারিনি ওখানে যাব কিনা, কারণ আমার অন্য কর্মসূচি রয়েছে। তবে কাল খুব বড় প্রতিবাদ মিছিল ওখানে হবে।"
চাকদাতে শ্যুটআউট নিয়েও রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। সাংসদ বলেন, "গুলি চলাটা নতুন কিছু নয় পশ্চিমবঙ্গে। সব দুষ্কৃতীকারী আর সমাজবিরোধরা তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সার্বিকভাবে পার্টিটার দুষ্কৃতীকরণ হয়ে গেছে, সমাজেরও অপরাধীকরণ হয়ে যাচ্ছে।"
তাঁর সংযোজন, "এরা যদি দাপিয়ে বেড়ায়, ভদ্রলোকেরা কোথায় যাবে? দুষ্কৃতীরাই এখন জনপ্রতিনিধি হয়ে গেছে, সরকারি ফান্ড কেউ লুট করছে, সাধারণ মানুষকেও লুট করছে। আর প্রতিবাদ হলেই ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি- কাটাকাটি হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment