ট্রেনে চেপে উত্তরবঙ্গে মমতা, তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৩ মে: 'ধীরে ধীরে নিচে আসছেন', মুখ্যমন্ত্রীর ট্রেনে চেপে উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন তিনি এবং সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "উত্তর বাংলায় এবং জঙ্গলমহলে টিএমসিটা কোথায় আছে, এটা খোঁজার জন্য বারে বারে যাচ্ছে।' তাঁর কথায়, "কোথায় নদীয়া মুর্শিদাবাদ এখানে যাচ্ছে না! জানে এখানে মারপিট করে জিতে নেব, কিন্তু উত্তর আর দক্ষিণে টিএমসি উপড়ে গেছে; মোটামুটি ওখানে লোক ঠিক করেছে টিএমসিকে আর একটা সিটও দেবে না। তাই বারবার চেষ্টা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, 'নিজেদের লোকেরাই তো লুটপাট করে নিচ্ছে জনসম্পর্ক আর কোথায়?' মুখ্যমন্ত্রীর ট্রেন সফর বিরল- এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, "ধীরে ধীরে নিচে আসছেন, হেলিকপ্টার থেকে ট্রেনে নেমেছেন। এরপর বাসে করে যাবেন, পরিস্থিতি দেখুন না। সব সময়ে হয়।"
আজ ময়না বনধ, এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যে ভাবে আমাদের কর্মীরা টার্গেট হচ্ছে, আমরা এভাবেই প্রতিবাদ করব। সাধারণ মানুষ ভয়ে আছে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ।"
তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস ধর্না প্রসঙ্গে তাঁর খোঁচা, "একবার শ্যামাপ্রসাদের মূর্তির নিচেও বসুন। তাহলে যদি কিছু হয়। গান্ধী মূর্তির নিচে বসে হল না। আম্বেদকর মূর্তির নিচে বসে হয়নি। পার্লামেন্টে শীতে আম্বেদকর মূর্তির নিচে বসে রোদ পহালেন। কি হল? ওনারা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কোথাও হয়না। এবার সেই রেকর্ডটা ভাঙুক।"
দণ্ডিকাণ্ডে ড্যামেজ কন্ট্রোল অভিষেকের- এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বলেন, "যিনি এটা করালেন, তাকে কি পুলিস গ্রেফতার করেছে? তাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। তিনি যে সামাজিক অপরাধ করেছেন, আদিবাসীদের যেভাবে অপমান করেছেন, তার জন্য তো আইন আছে। তাকে কিছু না করে চাপা দিতে অন্য কাউকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। আগে তাকে জেলে ঢোকান হোক। মানুষ ওদের ডোন্ট কেয়ার করে দিয়েছে। তাই রাস্তায় নামতে হচ্ছে।" তিনি বলেন, "বিএসএফ যখন গরু পাচারকারীকে গুলি করে, তখন তার বাড়িতে অভিষেক গিয়ে চোখ মুছিয়ে দেন। ওদের পুলিস যাদের গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, তাদের শান্তনা দিতে কেন যান না? জানেন, পরিণাম কি হবে।"
বিরোধি ঐক্যে শান মমতার, এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "উনি এখান থেকে বার্তা দিচ্ছেন। একবার ওখানে গিয়ে দেখুন কি অবস্থা। কাল সবচেয়ে বড় নেতা শরদ পাওয়ারের উইকেট পড়ে গেছে। নীতিশ বাবু কি করবেন জানি না। প্রতি ভোটে তার আসন কমছে। উনি কি আগামি ভোটে কেজরিওয়ালের মতো হয়ে যাবেন? উনি স্বপ্ন দেখছেন, আর পায়ের তলায় মাটি নেই। এমন লোকও প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছে, যার হাতে একটাও সাংসদ নেই। এ ধরনের ড্রামা প্রতি ইলেকশনে হয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গেছেন, বেশি লাফালাফি করলে গত লোকসভায় এক ডজন কমে গেছে, এবার আরও এক ডজন কমবে।"
No comments:
Post a Comment