'ইডি-সিবিআই আমাকে আটকাতে পারবে না', কেন্দ্রকে নিশানা অভিষেকের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৩ মে, কলকাতা : কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তার বেরিয়ে আসায় বিজেপি হতাশ। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি আবার সিবিআই তদন্তের পরে জনসংযোগ প্রচারে পৌঁছেছেন, তা বিষ্ণুপুর সভা থেকে করেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, "বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, তবে সিবিআই এবং ইডির ভয়ে বিজেপি মানুষকে কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।"
গত শুক্রবার সিবিআই নোটিশ জারি করার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাঝপথে অনুষ্ঠান ছেড়ে কলকাতায় ফিরতে হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে।
প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করে সিবিআই। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বৈঠকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, “আমার বয়স ৩৬ বছর। মোদীজির বয়স ৭২ বছর। আমার বয়স আমার দ্বিগুণ। কেন্দ্রীয় সংগঠনকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে লড়াই করতে চাইলে জনগণের আদালতে আসুন।"
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমালোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "অমিত শাহ এই রাজ্যে এসে তৃণমূল সরকার ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন এবং নিয়মের বিধান দেখুন, ১৫ দিনের মধ্যে কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের পতন।"
এদিন তিনি আরও দাবী করেন, "দুই দিন কর্মসূচি বন্ধ থাকায় মানুষের উৎসাহ তিনগুণ বেড়েছে।" তিনি বলেন, "পুরো রাস্তা মানুষে ভরা। ভিড়ের মধ্যে ৩০ জন রাজনৈতিক এবং ৭০ জন অরাজনৈতিক লোক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ার ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ প্রতি তিন মাসে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।"
সিবিআইয়ের নোটিশের পর বাঁকুড়ার সভা মাঝপথে ছেড়ে কলকাতায় আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারপর বাঁকুড়া থেকেই জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে আর কতবার আটকানো হবে। আমি সোনামুখীতে বলেছিলাম, সাহস থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করো। ফুলে-ফেঁপে বুকে গেলাম, ফুলে-ফেঁপে বুকে ফিরে এলাম। ইডি-সিবিআই যত বেশি মোতায়েন করা হবে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্দোলন তত দ্রুত হবে।"
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাঁকুড়ায় বহু সভা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক দেখুন। কত লোক আসছে আর সভা-সমাবেশ করে কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না।
তিনি বলেন যে, "৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসন এবং ১২ বছরের তৃণমূল শাসনের সময় এতটা উন্নয়ন ঘটেনি যা আজকের দিনে হচ্ছে। আসলে গণসংযোগের নামে যা খরচ করা হচ্ছে। এর টাকা আসছে কোথা থেকে? এটা আসছে কয়লা কেলেঙ্কারি বা শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে।"
তিনি বলেন, "প্রথম নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিততে না পারলে আর ফিরবেন না। বাঁকুড়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আবার আড়াই লক্ষ ভোটে জিতবে বলে দাবি করেন তিনি।"
No comments:
Post a Comment