গর্ভবতী মা ও অনাগত শিশুর জন্য যে ধরনের খাবার প্রয়োজন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৪ মে: মা ও শিশু, উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্যই প্রয়োজন কিছু বিশেষ ধরনের খাবার। আসুন জেনে নেই সেগুলো কি কি।
মাল্টি গ্রেন -
যেসব মহিলা মাছ-মাংস-ডিম খান না, তাদের জন্য মাল্টি গ্রেন ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে তাদের কাছে এটি প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস।
শুকনো ফল -
গর্ভাবস্থায় প্রোটিন এবং DHA-র জন্য, আপনি শুকনো ফল রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে খেতে পারেন। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে DHA পাওয়া যায়, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুগ্ধজাত দ্রব্য -
স্কিমড মিল্ক,পনির, দই, বাটারমিল্ক বা দুগ্ধজাত খাবার গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো থেকে গর্ভবতী নারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি-১২ পায়। আপনার যদি দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যে কোনও ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে এর বিকল্প জেনে নিন।
শাকসবজি -
গর্ভাবস্থায় সাধারণ সময়ের তুলনায় বেশি আয়রনের প্রয়োজন হয়। আর এই চাহিদা পূরণ হয় সবুজ শাকসবজি দিয়ে। তাই গর্ভাবস্থায় যতটা সম্ভব সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিৎ।
আমিষ -
মাংস, ডিম, মুরগির মাংস এবং মাছ গর্ভাবস্থায় আপনার অনেক চাহিদা পূরণ করে। এগুলোর মধ্যে যেমন প্রচুর প্রোটিন রয়েছে, তেমনই ফলিক অ্যাসিডও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
পানীয় -
গর্ভাবস্থায় পানীয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই সময়, শরীরকে সম্পূর্ণ হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে তাজা ফলের রস, নারকেলের জল অন্তর্ভুক্ত করুন। ঘরে বসে রস বের করে পান করার চেষ্টা করুন। টিনজাত রস বা পানীয় এড়িয়ে চলুন।
মনে রাখবেন, আপনি যদি সেই মহিলাদের মধ্যে একজন হন যারা তাদের ওজন সম্পর্কে খুব সচেতন, তবে আপনার খাদ্যতালিকায় কীভাবে উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত করবেন সেদিকে আপনার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। আপনার ডায়েটে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন না। কার্বোহাইড্রেট শুধুমাত্র আপনার ওজন বাড়াবে এবং আপনাকে পূর্ণ করবে৷ আপনি যদি খুব বেশি স্বাস্থ্যবতী না হয়ে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে চান তবে ফলিক অ্যাসিড, প্রোটিন এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান৷ এই জিনিসগুলি আপনার সন্তানের প্রয়োজন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment