বাবারা ভুলেও মেয়েকে বলবেন না এসব কথা, সম্পর্কে আসতে পারে গভীর দূরত্ব - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 11 May 2023

বাবারা ভুলেও মেয়েকে বলবেন না এসব কথা, সম্পর্কে আসতে পারে গভীর দূরত্ব


বাবারা ভুলেও মেয়েকে বলবেন না এসব কথা, সম্পর্কে আসতে পারে গভীর দূরত্ব 




প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ মে: প্রতিটি ঘরেই মেয়েরা তাদের বাবার প্রাণ, রাজকন্যার মত। প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে, ছেলেরা তাদের মায়ের কাছাকাছি, আর মেয়েরা তাদের বাবার কাছাকাছি। বাবার পরী ও ঘরের ঔজ্জ্বলতা, মেয়ের বয়সের প্রতিটি পর্যায়ে বাবা তার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। কখনও তাকে একজন সুপারম্যানের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, আবার কখনও তার মেয়ের বিদায়ের সময় শিশুর মতো কাঁদতে থাকেন তিনি। পড়াশোনা বা চাকরির জন্য বাড়ি থেকে দূরে যাওয়া মেয়ে তার বাবার চোখে নিজের প্রতি সবচেয়ে বেশি আস্থা ও আশা দেখে।


কিন্তু এত কিছুর পরেও এমন কিছু কাজ আছে, যা একজন বাবার তার মেয়েকে বলা উচিৎ নয়। কারণ আপনার কিছু কথা মেয়ের মনে আঘাত করতে পারে।  এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া সেই কথাগুলো সম্পর্কে, যা কখনই মেয়েকে বলা উচিৎ নয়। যেমন-


 ছেলে মেয়ের মধ্যে পার্থক্য করবেন না

এই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের মেয়েকে তাদের হৃদয়ের টুকরো বলে, কিন্তু জেনে বা না জেনে তারা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে পার্থক্য করে বসেন, যাতে করে মেয়েরা মনে আঘাত পান। অনেক বাবাই আশা করেন তাদের মেয়েরা ছেলেদের দায়িত্ব পালন করবে।  যা একজন মেয়ের মনে হীনমন্যতার বীজ বপন করে।  তাই ছেলে মেয়েকে সমান বিবেচনা করা প্রয়োজন এবং তাদের উপর তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য চাপ দেওয়া উচিৎ নয়।


 ঘরের কাজ করতে বাধ্য করবেন না

প্রত্যেক বাবা ভালো করেই জানেন মেয়ে বিয়ে করে অন্য বাড়িতে যাবে। এমতাবস্থায় সমাজ ও পরিবারের সদস্যদের চাপে বাবা সময়ে সময়ে মেয়েকে ঘরের কাজে মনোযোগ দিতে বা এতে দক্ষতা আনার পরামর্শ দিতে থাকেন।  যাতে তার মেয়েকে অন্যের বাড়িতে গিয়ে অন্যের সামনে বিব্রত হতে না হয়। কিন্তু একজন বাবার এই ধরনের আচরণকে একজন মেয়ের মনে আঘাত হানতে পারে এবং তার মানসিক বিকাশে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ঘরের কাজ করার মতো কথা বলে আপনার মেয়ের হৃদয়ে আঘাত করবেন না।


খেতে বাধা

অনেক সময় মেয়ের ওজন বাড়তে দেখে বাবা মজা করে তাকে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর মেয়ে তার বাবার এই রসিকতাকে গুরুত্বের সাথে নেয়।  সেজন্য আপনার মেয়ের জন্য খাবার ও পানীয়ের ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখবেন না বরং তাকে তার পছন্দের জিনিস খেতে দিন।


 সব বিষয়ে উপদেশ দেবেন না

প্রতিটি মানুষের স্বভাব আলাদা। কেউ কম কথা বলতে পছন্দ করে, আবার কেউ বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারে না।  কারও কারও সবসময় হাসিমুখে থাকার অভ্যাস আছে আবার কারও সিরিয়াস থাকার অভ্যাস আছে। কিন্তু একজন বাবা যদি তার মেয়েকে তার আচরণ পরিবর্তন করার নির্দেশ দিতে থাকেন, তবে তা কখনই মেয়ের ভালো লাগে না। তাই যে যেমন আছে, তাকে সেভাবেই থাকতে দিন। তা না হলে আপনার সাথে আপনার মেয়ের দূরত্ব বাড়তে পারে।


 আইনশৃঙ্খলা শেখাবেন না

আজকের তরুণ প্রজন্ম মুক্ত আকাশে উড়তে চায়, কিন্তু তার উড়ার পথে কেউ বাধা দিক বা প্রতিটি কাজে নিয়ম-কানুন শেখাতে যাক, এটা চায় না। এখন সময় এসেছে যেখানে নারীরা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন। যদিও বাবা সাধারণত মেয়েকে মেয়েদের পথ অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আপনার এই আচরণের কারণে আপনার মেয়ে নেতিবাচকতার শিকার হতে পারে। সেজন্য মেয়েদেরও ছেলেদের মতো একই স্বাধীনতা দেওয়া উচিৎ এবং তারা যা পছন্দ করে তা করতে দেওয়া উচিৎ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad