বন্যা ও বন্যা পরবর্তীতে মাছ চাষিদের করণীয় কিছু টিপস
রিয়া ঘোষ, ১৪ মে : বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও মৎস্য খাত নজিরবিহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অনেকে বাস্তুচ্যুতদের বাড়িঘর ও সম্পত্তির ক্ষতির কারণে তাদের কৃষি জমি এবং মাছের পুকুর বা ঘের ভেসে যাওয়ায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সঠিকভাবে অনুমানও করতে পারে না। কিছু পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যায়, কিছু পুকুর ডুবে যায়, কিছু মাছ বেরিয়ে আসে। কিন্তু যাদের বড় মাছ বা বিক্রয়যোগ্য মাছ থাকে তারা বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। এ সময়ে নতুন কচি মাছ মজুদ করে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা খুব সহজ নয়। তবুও, এখানে বন্যা-পরবর্তী কিছু প্রয়োজনীয় টিপস রয়েছে যাতে আপনি সতেজ হতে পারেন:
বন্যার সময় মাছের খামারে করণীয়
# বন্যার আগে জমিতে পলিয়েস্টার জাল ও কাপড় দিয়ে ভালো করে বেঁধে রাখতে হবে।
# যতদিন সম্ভব উপযুক্ত মাছ বিক্রি করতে হবে।
# বন্যার সময় মাছকে নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
# বন্যার জল রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতি কেজি জিওলাইট ৩০০ গ্রাম এবং রানামাইসিন ০.৫০ গ্রাম প্রতি কেজি মাছের খাদ্য ৭ দিন দিতে হবে।
# বন্যার জল বেশি হলে জালের দ্বিগুণ প্রস্থ দিয়ে বেড়া তৈরি করুন।
# বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হলে খাবারের বস্তাগুলো খুঁটিতে ভরে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে খাবার ১-২ ফুট জলের নিচে রাখতে হবে। তখন মাছ খাওয়ার লোভে মাঠে ঢুকবে না, বাইরে থেকে মাঠে ঢুকবে।
মাছের খামারে বন্যার পরের পদক্ষেপ
# বন্যা কমে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতি শতাংশ জমিতে ০.৫ কেজি চুন এবং ২৫০ গ্রাম জিওলাইট প্রয়োগ করে জল শোধন করা উচিৎ।
# জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য ও মজুদের স্তর পরীক্ষা করতে হবে।
# স্টক কম হলে পুনরায় স্টক করতে ভুলবেন না।
# দানব মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলতে হবে।
No comments:
Post a Comment