বাম্পার আয়! ভাগ্য বদলাচ্ছে মাছ চাষ
রিয়া ঘোষ, ১৯ মে : দেশের গ্রামাঞ্চলে চাষের পাশাপাশি চাষীরা মাছ চাষও করে থাকেন। এতে লাখ লাখ কৃষকের জীবিকা চলছে। একই সঙ্গে দেশে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের আয়ের প্রধান উৎস মাছ ধরা। আজকের এই প্রতিবেদন এমন কিছু ব্যক্তিত্ব নিয়ে, যারা মাছ চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। বিশেষ বিষয় হল এই ব্যক্তিটি এখন অন্যান্য মানুষকেও মাছ চাষের জটিলতা শেখাচ্ছেন।
NBT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যক্তির নাম বলবীর সেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায় অবস্থিত চক্রধরপুরের বাসিন্দা। আগে বলবীর সেন অন্য রাজ্যে প্রাইভেট চাকরি করতেন, কিন্তু এ কারণে সংসারের খরচ চালাতে পারতেন না। এমন অবস্থায় তার মাথায় ব্যবসা করার চিন্তা আসে। তাই বন্ধুদের মধ্যে মাছ চাষের পরামর্শ দেন। এরপর তিনি জেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে মৎস্য আহরণের তথ্য নেন। এখানে তিনি সরকার কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পান এবং বাড়িতে এসে মাছ ধরা শুরু করেন।
অন্যান্য রাজ্যেও মাছ বিক্রি হচ্ছে
বিশেষ ব্যাপার হল তিনি বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ শুরু করেন। এর পরে, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা থেকে ভর্তুকি পাওয়ার পরে, বড় আকারে মাছ চাষ শুরু হয়। এখন তারা মাছ চাষ করে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করছেন। অন্যান্য রাজ্যেও তাদের মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছ ধরা লাভজনক
একইভাবে চাইবাসার বাসিন্দা রাজকুমার মুন্ডাও মাছ চাষ করে মানুষের সামনে নজির স্থাপন করেছেন। রাজকুমার মুন্ডাও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে মাছ চাষ শুরু করেছেন। বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষও করছেন তারা। তাদের কৃত্রিম পুকুরে অনেক প্রজাতির মাছ রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিটি ট্যাংক থেকে তিনি ৫ থেকে ৬ কুইন্টাল মাছ উৎপাদন করছেন। এ কারণে তারা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। মাছ চাষের টাকায়ই সন্তানদের সুশিক্ষা দিতে পারছেন বলে জানান তারা। রাজকুমার মুন্ডা জানিয়েছেন, মাছ চাষ একটি লাভজনক চুক্তি।
No comments:
Post a Comment