হবু মা নিজের সাথে সাথে হবু সন্তানকেও সুস্থ রাখবেন কিভাবে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 3 May 2023

হবু মা নিজের সাথে সাথে হবু সন্তানকেও সুস্থ রাখবেন কিভাবে


হবু মা নিজের সাথে সাথে হবু সন্তানকেও সুস্থ রাখবেন কিভাবে

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৩ মে: গর্ভাবস্থায়, মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার, কারণ অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য মায়ের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। অতএব, আপনার স্বাস্থ্যের আরও ভালো যত্ন নেওয়া এবং গর্ভাবস্থায় আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মূল্যবান সময়ে কীভাবে নিজের ও হবু সন্তানের যত্ন নেওয়া যায় তা আমরা বলছি। 

গর্ভাবস্থায়, ভ্রূণ এবং নিজের পুষ্টির জন্য কিছু জিনিস অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নীচে উল্লিখিত সমস্ত স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলি আপনাকে অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে -

গর্ভবতী হলে, আপনার ডায়েটে বিশেষ করে প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। এর মধ্যে ডাল, অঙ্কুরিত শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, মাংস ইত্যাদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। যাতে শরীরে প্রোটিনের সরবরাহ অব্যাহত থাকে।

স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণের জন্য খাবারে আয়রন অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন সবুজ শাক, ডালিম, লেবু, লিচু, কিশমিশ, ডুমুরের মতো জিনিস খান। এ ছাড়া অবশ্যই খাবেন ভিটামিন-সি, যাতে শরীর আয়রন শোষণে সহায়তা পায়।

শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি ও ফাইবার সরবরাহ করতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারকে অগ্রাধিকার দিন। আপনার খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, ফল, স্যালাড জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। এ ছাড়া এ সময় খোসাযুক্ত মুগ ডাল খাওয়া খুবই উপকারী।

খাবারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ফ্যাট নিন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড ভ্রূণের মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  তাই খাবারে অবশ্যই এগুলো ব্যবহার করুন।

শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশের জন্য বেশি করে ক্যালসিয়াম খান। এটি আপনাকে পিঠ এবং কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে এবং আপনাকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য প্রস্তুত করবে। এই জন্য খাদ্যতালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, লেবু, সবুজ শাক, বিশেষ করে পালং শাক, চিনাবাদাম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন।

এই সবের সাথে প্রচুর জল পান করুন। তবে একবারে খুব বেশি জল পান করা থেকে বিরত থাকুন। সারাদিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন। শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করবে এটি।

 এই সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই হাঁটা, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য হালকা ব্যায়াম করতে হবে। মনকে শান্ত ও মনোযোগী রাখতে আপনি ধ্যানও করতে পারেন। এটি অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad